খুচরা শলাকার সিগারেট বিক্রিতে রাজস্ব ফাঁকি ৪৯৩০ কোটি
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩৪ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:১৮
ঢাকা: তামাক কোম্পানি ইচ্ছেমত সিগারেটের খুচরা শলাকার মূল্য নির্ধারণ করে ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। আদায়কৃত অতিরিক্ত এ অর্থের পরিমান ৬ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। সরকার এ অর্থের ওপর নির্ধারিত হারে রাজস্ব পেলে ৪ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা পেতো, যা তামাক কোম্পানি ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে। সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ হলে তামাক কোম্পানি জনগণের টাকা হাতিয়ে নিতে পারবে না। একই সাথে তা সিগারেট সেবন কমিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ‘সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রিতে রাজস্ব ফাঁকি ও প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারের মূলল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো (বিইআর) ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) যৌথভাবে অনলাইন মিটিং প্লাটফর্ম জুমে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
বিইআর ও বিএনটিটিপি’র গবেষণার ফল তুলে ধরে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, প্রতি শলাকা সিগারেটে ৫০ পয়সা থেকে ২ টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়া হচ্ছে। এই অতিরিক্ত টাকার ওপর কোনো কর সরকার পাচ্ছে না। গবেষণায় দেখা যায় মোট সিগারেট বিক্রির প্রায় ৮০ শতাংশ খুচরা শলাকা হিসেবে বিক্রি হয়। খুচরা শলাকা থেকেই তামাক কোম্পনিগুলো প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করছে, যার করের অংশ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।
সরকারের সাবেক সচিব ও ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এর সিনিয়র কনসালটেন্ট মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক একেএম মাকসুদ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক বজলুর রহমান এবং একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ও তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক সুশান্ত সিনহা।
ওয়েবিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএনটিটিপি’র প্রজেক্ট ম্যানেজার হামিদুল ইসলাম হিল্লোল এবং সঞ্চালনা করেন বিএনটিটিপি’র প্রজেক্ট অফিসার ইব্রাহীম খলিল।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনজে