‘জাতির স্বপ্ন বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার, যে দায়িত্ব শিক্ষার্থীদেরকেই নিতে হবে’
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৪৫ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৪৬
ঢাকা: সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর সমগ্র জাতি আজ স্বপ্ন দেখছে শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার, যে দায়িত্ব শিক্ষার্থীদেরকেই নিতে হবে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আশুলিয়ার নলাম এলাকায় অবস্থিত গণ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘জালিয়াতি ও প্রতারণার নির্বাচন, বিরোধী মত দমন, সীমাহীন দুর্নীতি, রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস, মাত্রাতিরিক্ত পুলিশ ও আমলা নির্ভরতার কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা সামগ্রিকভাবেই একটা নাজুক অবস্থা অতিক্রম করছে। রাজনৈতিক দলাদলি, পারস্পরিক সহনশীলতার অভাব, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির অপসংস্কৃতি ও অপতৎপরতা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নির্বাচিত ছাত্র সংসদ দ্বারা ছাত্রদের নেতৃত্ব বিকাশের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। অনিয়মিত হলেও গণ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের নেতৃত্ব বিকাশের সেই সুযোগ দিয়েছে, যা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য করেছে।’
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন দূরদর্শী এবং স্বপ্নদ্রষ্টা। যেখানেই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্পর্শ পেয়েছে সেখানেই নতুনের জন্ম হয়েছে।’ এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্তরা দেশ সমাজ ও রাষ্ট্রের সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা ন্যায্য-গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে পারিনি বলেই ২০২৪ এ গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে। আজ সমাবর্তনে উপস্থিত গ্রাজুয়েটদের মনে রাখতে হবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর লক্ষ্যই ছিল গ্রামে চলো গ্রাম গড়ো। আমি গণ-বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন স্থানে দেখতে চাই যেখানে পৃথিবীর সব গণজাগরণের মানুষদের মিলনমেলা হবে।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গণ-বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলাম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম। গণ-বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ড সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্যরা, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এফএন/এইচআই