চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানী, আরও ২ জন গ্রেফতার
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫২ | আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৬
টাঙ্গাইল: ঢাকা-রাজশাহী সড়কের ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ বাসে ডাকাতির ঘটনার পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে প্রেসব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
গ্রেফতাররা হলেন, আলমগীর হোসেন (৩৪) ও মো. রাজিব হোসেন (২১)।
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, এর আগে গ্রেফতার তিনজনের দেওয়া তথ্যমতে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনার মাষ্টারমাইন্ড আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য আলমগীরকে নেত্রকোনা জেলার পুর্বধলা থানার সাধুপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৪ হাজার ২১০ টাকা ও দুটি রুপার আংটি উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর জানায়, লুট করা মোবাইল সেট, ব্যবহার করা ছুড়ি ও মহিলাদের গহনা রাজিব হোসেনের কাছে জমা রয়েছে। তার দেওয়া তথ্যমতে ঢাকার আশুলিয়ার থানার ধানসোনা এলাকার পলাশবাড়ি থেকে রাজিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় রাজিবের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল সেটসহ, গহনা ও তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার আলমগীরকে ৭ দিন ও রাজিবকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছেড়ে আসে। সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানী শেষে তারা বাস থেকে নেমে যায়।
ডাকাতরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর বাস চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে যাত্রীদের চাপের মুখে বাস নিয়ে যাত্রা শুরু করেন চালক। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার পরে যাত্রীরা বাসটিকে নিয়ে বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান।
বাসে ডাকাতির শিকার ওমর আলী বাদি হয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় রাতে মামলা দায়ের করেছেন।
পরে বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও তার সহকারী মাহবুব আলমকে (২৮) গ্রেফতার করে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। পরে তারা আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পান।
সারাবাংলা/এমপি