মার্কিন সহায়তা বন্ধে সুদানে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৬ | আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৬
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা স্থগিতের ফলে সুদানের গৃহযুদ্ধ কবলিত জনগণের জন্য পরিচালিত ৮০ শতাংশ জরুরি খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি তাদের সংবাদে জানিয়েছে, এ পদক্ষেপের কারণে বিপর্যস্ত প্রায় ২০ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে পড়েছে যা বাড়িয়ে তুলেছে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা।
স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে মার্কিন সরকারের উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) অনুদান ৯০ দিনের জন্য বন্ধ থাকায় ১ হাজার ১০০-এরও বেশি কমিউনাল কিচেন বন্ধ হয়ে গেছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে চলমান সংঘর্ষে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে এবং বহু মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে পারে।
জরুরি খাবারের রান্নাঘরগুলো পরিচালনা করত ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুমস’ নামে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের একটি নেটওয়ার্ক, যারা তাদের এলাকার খাদ্য সংকট মোকাবিলায় কাজ করেছে।
গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসন হঠাৎ করে সকল মার্কিন সহায়তা স্থগিত করে যুক্তি দেখিয়েন এসব সাহায্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করছে কি না তা পর্যালোচনা করা হবে। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জরুরি খাদ্য সহায়তার জন্য একটি ব্যতিক্রম অনুমোদন করেছে। যদিও সুদানিজ গ্রুপগুলো বলছে, বাস্তবে এটি কীভাবে কার্যকর হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সুদানে জরুরি খাদ্য সংকট মোকাবিলায় কাজ করা সংস্থাগুলো এই সহায়তা বন্ধকে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছে। কমপক্ষে পাঁচটি অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে সংস্থাগুলো তথ্য প্রকাশ করেছে।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, সহায়তা পুনর্বিন্যাসের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রকে আরও নিরাপদ, শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধ করা।
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রই ছিল সুদানের সবচেয়ে বড় সহায়তাদাতা, যা জাতিসংঘের সুদান মানবিক সহায়তা পরিকল্পনাতেও বড় অবদান রেখেছে। তবে বর্তমান সহায়তা বন্ধের পর ভবিষ্যতে সহায়তা পুনরুদ্ধার হবে কি না, তা এখনও অনিশ্চিত।
সারাবাংলা/এনজে