নির্দিষ্ট ক্রেতা ছাড়া তেল বিক্রি করেন না রুপচাঁদার পরিবেশক
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৯ | আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বোতলজাত সয়াবিন তেল মজুদ রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির অভিযোগে এক পরিবেশকসহ দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর চেরাগি পাহাড়ের মোমিন রোড এলাকায় ও বৃহত্তম পাইকারি ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান চালায় অধিদফতরের একটি টিম।
ভোক্তা অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট ক্রেতা ও খুচরা ব্যবসায়ী ছাড়া ওই পরিবেশক তেল বিক্রি করেন না। মজুদ থাকা সত্ত্বেও তারা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে তেল নেই জানিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন।
অভিযানে নগরীর বৃহত্তম পাইকারি ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জের ‘চৌধুরী ট্রেডার্স’ নামে এক পরিবেশককে ৫০ হাজার ও চেরাগি পাহাড়ের মোমিন রোড এলাকার ‘মেসার্স শরীফ স্টোর’ নামে এক খুচরা ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই খুচরা বিক্রেতার কাছে থাকা প্রায় ৩০০ লিটার তেল ন্যায্যমূল্যে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

ন্যায্যমূল্যে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের কর্মকর্তারা। ছবি: সারাবাংলা
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা খাতুনগঞ্জে এর আগেও অভিযান চালিয়েছি। রমজানকে সামনে রেখে অনেক ব্যবসায়ী তেল মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করছে। খাতুনগঞ্জে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আমরা সতর্ক করে এসেছিলাম। আজ আমাদের একজন ক্রেতা সেজে চৌধুরী ট্রেডার্সে গিয়ে তেল আছে কি না জিজ্ঞেস করে। তারা রুপচাঁদা সয়াবিন তেলের ডিলার। তারা আমাদের সোর্সকে তেল নেই বলে জানায়।’
‘কিন্তু পরে আমরা গিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে আট হাজার লিটার তেল উদ্ধার করি। তারা কিছু নির্দিষ্ট ক্রেতা ছাড়া তেল বিক্রি করে না। সাধারণ ক্রেতারা তাই তেল না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এভাবে তারা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। ফলে এসব ব্যবসায়ীরা বেশি দামে তেল বিক্রি করার সুযোগ পায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) চেরাগি পাহাড়ের মোমিন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়েছিলাম। অভিযানে অবৈধভাবে তেল মজুদ করায় তখন শরীফ স্টোরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলাম। আজ আমরা আবার গিয়ে সেখানে মনিটরিং করি। আমাদের একজন তাদের দোকানে তেল আছে কি না জিজ্ঞেস করলে জানায় নেই। পরে আমরা গিয়ে দোকানের পেছনে তেল পাই। ওই প্রতিষ্ঠানকে ফের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই দোকানে মজুদ করে রাখা প্রায়ই ৩০০ লিটার তেল সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার ব্যবস্থা করি আমরা।’
মেসার্স শরীফ স্টোরের সত্ত্বাধিকারী মো. শরীফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি তেলগুলো যার থেকে নিয়েছি তাকে ফিরিয়ে দেব বলেই বিক্রি বন্ধ করে রেখেছিলাম। এগুলো তো মজুদ রাখিনি। আমার প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কার্টুন তেল বিক্রি হয়।’
সারাবাংলা/আইসি/এমপি