Tuesday 25 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জুনেই আগামী বাজেট, রোজার পর কমবে মূল্যস্ফীতি: অর্থ উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৬ | আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৪

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ

ঢাকা: আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট জুনেই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, আমরা অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছি, বাজেটটা জুনের পরে কারো জন্য অপেক্ষা করে না। অনেকগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়েছে, কোনো সময়ই বাজেট অপেক্ষা করেনি। রিভাইজ বাজেট তো আমাদের করতেই হবে। আমি হয়তো কোথাও বক্তৃতা দিয়ে বাজেট পেশ করব। অ্যাপ্রুভাল নেওয়ার তো বিভিন্ন স্টেজ আছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

বাজেট প্রণয়নে প্রধান অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ করা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আর আমরা যদি বাজেট না দেই, তবে দাতাদের প্রজেকশন আছে, কত কী হবে, সেটা আমরা মিস করতে পারবো না। আমরা জানিয়ে দেব, তারা যদি মনে করে রিভাইজ করবে, তাহলে তারা রিভাইজ করবে।

আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোজার সময়ে এবং রোজা ছাড়াও মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় প্যাকেজে যে জিনিসগুলো থাকে, সেগুলো নিশ্চিত করতে। একই সঙ্গে আমরা চেষ্টা করছি দামটা যাতে রিজনেবল থাকে। এজন্য প্রথমত সরবরাহটা নিশ্চিত করা হবে। সরবরাহ নিশ্চিত না হলে অনেক সময় সঠিক দামে ভোক্তারা পায় না। এখানে আবার মার্কেট ডায়নামিকস আছে।

রোজার পর মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে- জানিয়ে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি এক পার্সেন্ট কমেছে। এটা যাতে ধারাবাহিকভাবে কমে আসে এবং বাজেট দেওয়ার সময় এটা যাতে রিজনেবল অবস্থায় থাকে। কারণ এটা আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ। মূল্যস্ফীতি হলেই জীবনযাপনের মান কমে যায়। এবার বড় একটি (পণ্যের) অংশ আমাদের আমদানি করতে হয়েছে। এটা আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভের ওপর প্রভাব ফেলেছে।

বিজ্ঞাপন

এলসি খোলার ক্ষেত্রে ডলার সঙ্কটের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রসঙ্গে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজারে ডলারের সঙ্কট নেই। আমাদের রফতানি বেড়েছে। সেটা আমরা জানছি, কারণ আমাদের ক্যাশ ইনসেনটিভ দিতে হয়। আর ব্যবসায়ীদের আমি ভালো করে চিনি। তারা অনেক সময় একপেশে কথাবার্তা বলেন। এক গ্রুপ এসে বলবে- স্যার আপনি তো এটার ওপর ট্যাক্স দিয়েছেন বা কমিয়ে দিয়েছেন। আরেক গ্রুপ এসে বলবে- স্যার আপনি কমাইয়েন না, যা দিয়েছেন ঠিকই আছে। সুতরাং আমাকে চিন্তা-ভাবনা করে করতে হয়।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, এখন কারেন্ট ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট পজিটিভ পর্যায়ে এসেছে। ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট পজিটিভ, এটা ধরে রাখাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা দরকার, এটা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। যদিও এটা আমার বিষয় নয়। আমি যখন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলি, তারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ফ্যাক্টরি, মূল্যবান জিনিসপত্র, গুদামের নিরাপত্তা না দিতে পারলে ব্যবসায়ীরা স্বস্তি অনুভব করবে না। এ বিষয়ে আমরা একমত এবং এটার দ্রুত সমাধান করার জন্য আমরা আলাপ-আলোচনা করছি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে কিছু টাকা পাঠানোর কথা বলেছেন। বাংলাদেশে কোথায় ও কীভাবে এ টাকাটা খরচ হয়েছে, এ বিষয়ে আপনি কোনো তদন্ত করবেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এটা যদি আমাদের দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে হয়, কারও মোটিভেটেড কোনো ইস্যুতে এটা ব্যবহার করে সেটা দেখার বিষয়। আমরা দেখবো ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের মোটিভেশনাল কাজে টাকা না আসে।

সারাবাংলা/আরএস

অর্থ উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা বাজেট মুল্যস্ফীতি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর