জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে বৈবিছাআ’র নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫২ | আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৫
কুষ্টিয়া: জেলার কুমারখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের উপজেলা শাখার সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আলীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হোসাইন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জামায়াত নেতা আফজাল।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে কুমারখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এলেঙ্গিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আলী বলেন, ‘আজ সকালের দিকে থানার একটা বিষয় নিয়ে কুমারখালী উপজেলা জামায়াতের আমির আফজাল হোসাইনের সঙ্গে ফোনে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর দুপুরের দিকে আফজাল হোসাইনের নেতৃত্বে প্রায় ২০০-৩০০ মানুষ আমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় বাড়িতে আমি ও আমার বাবা ছিলেন না। তারা টিভি, ফ্রিজ, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে। লুট করে নিয়ে গেছে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্রও। প্রায় একঘণ্টা ধরে তারা এই তাণ্ডব চালিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি, এমন ঘৃণিত কাজের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি।’
কুমারখালী উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হোসাইন বলেন, ‘আলী ও তার বাবার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। কুমারখালী উপজেলা জুড়ে তারা বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। চাঁদাবাজি, মানুষকে মারপিট করে ও হুমকিধামকি দেন। এতে বিক্ষপ্ত জনতা তার বাড়ি হামলা ভাঙচুর করেছে। এর সঙ্গে কোনো সংগঠন জড়িত না। আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিক্ষুব্ধ জনতাকে আমরা কিভাবে ঠেকাবো। তারা অতিষ্ঠ হয়ে তার বাড়ি ভাঙচুর করেছে। এর সঙ্গে জামাতের নেতা বা জামায়াত কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না। ঘটনার সময় আমি আমার অফিসে ছিলাম।’
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দেখা হোক। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, ‘হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত স্বাভাবিক রয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক আইনের আওতায় আনা হবে।’
সারাবাংলা/এইচআই