বিদ্যুৎখাতে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় ডাকাতি হয়েছে: শফিকুল আলম
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:১৪ | আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:১৯
ঢাকা: বিদ্যুৎখাতে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় ডাকাতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘ডিজেএফবি টক’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ডিজেএফবি টকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি হামিদ-উজ-জামান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদ আবু হেনা মুহিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত টকে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এনার্জি খাতে ডিজিপ্লিন ফিরিয়ে আনা দরকার। স্টেট স্পন্সরশিপ করে ডাকাতি হয়েছে এই খাতে। বিদ্যুৎ খাতে স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করছি। বড় বড় পাওয়র কোম্পানির সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আমরা গ্যাসের জন্য প্রচুর পরিমাণে কূপ খনন করতে চাই।
বৈদেশিক বিনিয়োগ আনতে চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো হবে। এই পোর্টের দক্ষতা না বাড়লে ইনভেস্টমেন্ট বাড়বে না। রি এক্সপার্ট করতে গেলে চট্টগ্রামের দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে। এ জন্য বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমরা চাই চট্টগ্রামের প্রতিট পোর্ট উন্নয়ন করা তা হলে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের টাকা চুরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের নিজের জন্য টানেল হয়েছে। দেশের অর্থনীতি কলাপস হওয়ার মতো অবস্থায় ছিল ছয় মাসে ইকোনমি যে অবস্থায় কাাম ব্যাক করেছে তা মিরাকল। আমরা এমন এক ইকোনমিক ব্যবস্থাা পেয়েছিলাম জমিদারের মতো হাতে কিছু টাকা পেয়েছি তা বাজে কাজে ব্যবহার। অপচয়কে ট্যাকেল দিতে ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। বাজোটের বড় অংশ বৈদিক ঋণ পরিশোধে যাচ্ছে।
প্রেস সচিব বলেন, এনার্জি সিস্টেম দক্ষ না হলে কেউ বিনিয়োগ করবে না। পাওয়ার সিস্টেমে ডাকাতির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দেশের বিনিয়োগ দরকার সেটা করা হয়নি। রেভিনিউ সিস্টেম করছেন তা ভালো ছিল না। হাতে টাকা নাই যা তা খরচ করেছে বিগত সরকার। ৫৬০টা মডেল মসজিদ বেশি ব্যয় করা হয়েছে যা আারও কম টাকায় করা যেত। এমনভাবে রেল লাইন টানা হয়েছে সারাদিনে রেল চলে না। এটা জনগণের টাকার অপচয় করা ছাড়া কিছু নয়।
সারাবাংলা/জেজে/ইআ