Wednesday 26 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নতুন নীতিমালার আলোকে আইপি টিভির পক্ষে মত কোয়াবের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫২ | আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪৩

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক সভায় নিজেদের নানান অসুবিধার কথা তুলে ধরেন ক্যাবল অপারেটররা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সম্প্রচারের স্বার্থ সংরক্ষণ করে এবং নতুন নীতিমালার আলোকে আইপি টিভি শুরুর পক্ষে মত দিয়েছে ক্যাবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। আইপি টিভি ও ওটিটির অবাধ এবং অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের কারণে ক্যাবল ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে সংগঠনটির নেতারা এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। একইসঙ্গে বিধিমালা ঠিক না করে আইপি টিভির অনুমোদন না দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত বৈঠকে এ সব সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এদিন আইপি টিভির মাধ্যমে ভিডিও প্রোগ্রাম সেবা হিসেবে দেশি-বিদেশি ফ্রি টু এয়ার চ্যানেলগুলো সম্প্রচার এবং ওটিটি সম্প্রচার সাভির্স সংক্রান্ত আইন বিধিমালা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার উন্নয়ন) ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলমের সঙ্গে সভায় নিজেদের নানা অসুবিধার কথা তুলে ধরেন ক্যাবল অপারেটররা।

বিজ্ঞাপন

এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- কোয়াব সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেন ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকসহ অন্যান্যরা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কোয়াবের সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেন। তিনি জানান, আইপিভিসিক্স ইন্টারনেট প্রটোকল ভিডিও সার্ভিস চ্যাপ্টার সিক্স এই নামে যে সার্ভিসটি তারা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, সে সার্ভিসের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে সভায়।

তিনি বলেন, ‘১৪টি চ্যানেলকে আইপি টিভির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো আসলে ইন্টারনেট প্রোটকলের মাধ্যমে একটি টেলিভিশন চ্যানেল। সেখানে কিছু বিধিনিষেধ ও কিছু গাইডলাইন প্রণয়ন করে তার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। আইপিটিভি ও আইপিভিসিক্স এই সার্ভিস এক নয়।’

কোয়াব সভাপতি বলেন, ‘আইপিভিসিক্স বলতে বোঝাচ্ছে, টেলিভিশনের যে সার্ভিস রয়েছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে- যারা ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছেন তারাও যেন দিতে পারেন। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, আমরা টেকনোলজির সঙ্গে আছি। আমরা টেকনোলজির বিরোধিতা করছি না। আমাদের এই ট্রেডে বিদ্যমান যে বৈষম্যগুলো রয়েছে, সেগুলো দূর করার পর একটা লেভেল প্লেইং ফিল্ড যখন তৈরি হবে, তখন যেন সুনির্দিষ্ট গাইডলাইনের মাধ্যমে অনুমোদনগুলো দেওয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর সারাদেশে আইএসপি সেবাদাতারা দেশি-বিদেশি কনটেন্টগুলো নির্বিচারে অনুমোদনবিহীনভাবে পাইরেসির মাধ্যমে প্রচার করছে। যে কারণে আমরা ক্যাবল অপারেটররা ভীষণভাবে ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছি। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের পদক্ষেপ কামনা করছি। যারা পাইরেসি করছে তাদের বিষয়েও যেন সরকার ব্যবস্থা নেয়, বৈঠকে সেটা আমরা বলেছি।’

সাইফুল হোসেন বলেন, ‘একজন গ্রাহককে আমরা সবধরনের ইন্টারনেট সেবা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু সেই সেবা দিতে গিয়ে বিটিআরসি কর্তৃক একটা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। যেটা বিটিআরসির গাইডলাইন ধারা ৬ এ বলা আছে। আমরা যারা ক্যাবল অপারেটর তারা ইন্টারনেট সেবা দিতে পারব না। যে কারণে আমরা গ্রাহকদের গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস দিতে পারছি না। সেই বিধিনিষেধ যেন তুলে নেওয়া হয় সেটা আজ বৈঠকে বলা হয়েছে।’

আপনারা সেবা দিতে সক্ষম কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সক্ষম, আমাদের অবকাঠামো করা আছে অনেক আগে থেকে। আমরা টেকনিক্যালি ডিজিটালাইজেশন এবং ট্রিপল প্লে সেবা দেওয়ার জন্য পুরোপুরি সক্ষম।’

আইপি টিভিগুলোর উদ্দেশে এ বি এম সাইফুল বলেন, ‘সরকার একজনকে লাইসেন্স দিয়েছে, অবশ্যই তাকে গাইড করবে। কীভাবে প্রচার করবে, কী প্রচার করবে, সেগুলো দেখভাল করবে। আইপি টিভি যেহেতু একটা চ্যানেল, সেহেতু দেখভাল করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সমস্যা হলো এই চ্যানেলগুলো আমরা প্রচার করতে পারব না। কারণ, বিটিআরসি বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছে।’ বিটিআরসির বিধিনিষিধ তুলে নিয়ে বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে উঠুক।’

সারাবাংলা/জেআর/ইআ/পিটিএম

আইপি টিভি কোয়াব তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক

বিজ্ঞাপন

ভালোমন্দের দোলাচলে দেশ
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪৩

আরো

সম্পর্কিত খবর