Thursday 27 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রেগুলেটরি ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করার পরামর্শ অর্থ বিভাগের
সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগে ধস

সোহেল রহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৩ | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫৯

ছবি : প্রতীকী

ঢাকা: ধস নেমেছে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগে (এফডিআই)। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪) দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে ২১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এটি এর আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭১ দশমিক ৩৭ শতাংশ কম। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছিল ৭৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এ হিসাব অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের।

অর্থ বিভাগ বলছে, গত পাঁচটি পঞ্জিকা বছরে (২০২০-২০২৪) প্রতি বছর গড়ে ১৫০ কোটি ডলার সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ দেশে এসেছে। এর মধ্যে ইক্যুইটি বিনিয়োগের পরিমাণ মাত্র ৬৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অথচ ২০২৩ সালে ভিয়েতনামে ও থাইল্যান্ডে নিট সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১ হাজার ৮৫০ কোটি ডলার এবং ৬৫০ কোটি ডলার।

বিজ্ঞাপন

এ প্রেক্ষিতে দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে অধিকতর করণীয় তিন দফা সুপারিশ করেছে অর্থ বিভাগ। এগুলো হচ্ছে- শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন নয় বরং বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দেশের রেগুলেটরি পরিবেশ উন্নত করা; ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনসহ বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো; দেশে অবস্থানরত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতামত নিয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলো দূর করা।

এছাড়া অর্থ পাচার রোধ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো এবং রফতানি বাড়াতে আরও কিছু নীতি নির্ধারণী সুপারিশ করেছে অর্থ বিভাগ। এগুলো হচ্ছে- টেড বেজড অর্থ পাচার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের এলসি মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রাখা; বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাড়াতে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বিদেশগামী কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করা; রেমিট্যান্স উৎসাহিত করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া; তুলনামূলক ও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা রয়েছে- এমন পণ্য চিহ্নিত করে সেসব পণ্য তৈরিতে উদ্যোক্তাদের বিশেষ সু্বিধা দেওয়া; চামড়া-কৃষিজাত ও পাটজাত পণ্য-ওষুধ শিল্প ইত্যাদি খাত রফতানি বাড়াতে নগদ সহায়তার বিকল্প হিসেবে কী কী আর্থিক সহায়তা প্রদান করা যায়, সেগুলো চিহ্নিত করা।

বিজ্ঞাপন

চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসের বহিঃখাত পর্যালোচনায় অর্থ বিভাগ বলেছে, মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকায় এবং প্রবাসে নিয়োগের পরিমাণ বাড়ায় রেমিট্যান্সের গতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা প্রাপ্তির কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি’র কাছ থেকে ১০১ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়া গেছে। অন্যান্যের মধ্যে অর্থবছরের ছয় মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি বেড়েছে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং অন্যদিকে আমদানি বেড়েছে মাত্র ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। ফলে আগের অর্থবছরের তুলনায় ছয় মাসে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে চলতি হিসাবে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩৫০ কোটি ডলার।

সারাবাংলা/আরএস

অর্থ বিভাগ সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই)

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর