২ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভোজ্য তেল এসেছে সাড়ে ৩ লাখ টন
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৬ | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:২৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: রমজান উপলক্ষ্যে দেশে গত দুই মাসে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান। এ ছাড়া রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যও পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের শহিদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব তথ্য দেন বন্দর চেয়ারম্যান।
বন্দর চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা থাকে তা পর্যাপ্ত আমদানির তথ্য আমাদের কাছে আছে। আমরাও শিডিউলিংয়ের মাধ্যমে বন্দরের পরিবহণ আরও গতিশীল করছি। রমজানে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের কৃত্রিম সংকট যেন সৃষ্টি করতে না পারে, আপনারা সেদিকে নজর রাখবেন। আমরা বন্দরের অভ্যন্তরে ও আউটারে কোনো জট যেন না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’
বাজারে বোতলের সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না, ব্যবসায়ীরা বলছেন তেল আমদানি কম হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কী পরিমাণ তেল আমদানি হয়েছে?- জানতে চাইলে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘তেল আমদানি কমেনি।’ এরপর তিনি পাশে থাকা বন্দর সচিব ওমর ফারুকের কাছ থেকে ভোজ্য তেল আমদানির পরিসংখ্যান জানতে চান।

সাংবাদিকদের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের মতবিনিময়। ছবি: সারাবাংলা
পরে বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক এনামুল করিম সাংবাদিকদের জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে তেল আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৫২৭ মেট্রিক টন, যা গত বছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি। ভোজ্য তেল আমদানির পর কমবেশি কোম্পানিগুলোর শোধানাগারে চলে যায়। ভোজ্য তেল আমদানি অন্যান্য পণ্য আমদানির মতো না।
বন্দরের গাড়ির জটের কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। রমজান মাসেও এ জট থাকবে কিনা? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খুব শিগগিরেই একটি মিটিং করব। সভায় ট্রাফিক ব্যবস্থায় যাতে সুন্দরভাবে ডিসিপ্লিন থাকে সে ব্যাপারে আমরা যা যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেব। প্রয়োজনে বন্দরের ভেতরে যে সশস্ত্র বাহিনী আছে তাদের সহযোগিতা নেব। রোজার মাসে ট্রাফিক ব্যবস্থা যেন ঠিক থাকে এবং যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেজন্য আমাদের যা যা করা প্রয়োজন আমরা করব। সাধারণ মানুষ যাতে সুফল পায় এবং তাদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে না হয়।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দরের বোর্ড সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) হাবিবুর রহমান, (অর্থ) শহীদুল আলম, (প্রকৌশল) কমডোর কাওসার রশিদ ও (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ।
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম