ঢাকা: সরকারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। অন্যদিকে এর বিপরীত চিত্র বিরাজ করছে অর্থছাড় ও প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে। চলতি অর্থবছরের ৭ মাসে কমেছে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড়।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত ৭ মাসে ঋণের সুদ ও আসল মিলিয়ে বাংলাদেশ পরিশোধ করেছে ২৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৮ কোটি ৫৬ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত যে পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে এর মধ্যে সুদ দেওয়া হয়েছে ৮ কোটি ৭৪ লাখ ডলার এবং আসল ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে সুদ পরিশোধ বাবদ দেওয়া হয়েছিল ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার আর আসল পরিশোধ করা হয় ১০ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ৭ মাসে উন্নয়নসহযোগীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণ ২০ কোটি ৩৮ লাখ এবং অনুদান ৩ কোটি ১২ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রতিশ্রুতির পরিমাণ ছিল ৭১ কোটি ৭২ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণ ৬৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং অনুদান ছিল ৪ কোটি ৩২ লাখ ডলার। এ হিসেবে চলতি অর্থবছরের ঋণ ও অনুদান উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিশ্রুতির পরিমাণ কমেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত জুলাই থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত উন্নয়নসহযোগীরা অর্থ ছাড় করেছে ৩৯ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪৩ কোটি ৯৮ লাখ ডলার।
গত ৭ মাসে যে পরিমাণ অর্থছাড় হয়েছে এর মধ্যে ঋণ ৩৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এবং অনুদান ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঋণ ছাড় হয়েছিল ৪২ কোটি ১৩ লাখ ডলার এবং অনুদান ১ কোটি ৮৪ লাখ ডলার।