Friday 28 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাঙ্গ হলো প্রাণের মেলা

আহমেদ জামান শিমুল
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:০৬ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:০৯

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: ‘যে জন আনন্দ বিলায়/সে হয় পরম প্রাণ রে, যে জন আনন্দ কুড়ায়/সে হয় পরম সাথী রে’—পঙক্তিগুলো সাত্যকি ব্যানার্জির। তিনি কী ভেবে লিখেছেন তা হয়তো আমরা জানি না। তবে বইপ্রেমী মাত্র জানে বই তাদের জন্য কতটা হৃদয়ের অনুসঙ্গ। এ বই তাদের জন্য আনন্দ বয়ে আনে। একটা ভালো বই একজনের জীবন বদলে দেয়, যা একজন সত্যিকারের সঙ্গীই শুধু করে। অমর একুশে বইমেলার শেষ দিনে তাই বইপ্রেমীদের হৃদয়ে বেজেছে বিচ্ছেদেরও সুর।

বিজ্ঞাপন

এবারের বইমেলায় অন্যান্য বইয়ের সঙ্গে স্থান পেয়েছিল জুলাই আন্দোলন নিয়ে লেখা বই। ছবি: সারাবাংলা

পুরো ২৮ দিন জুড়ে বইপ্রেমীরা খুঁজেছেন প্রিয় বইটি। মেলায় লেখক ও পাঠকরা পরস্পরকে কাজ থেকে জানার সুযোগ পেয়েছেন। এমন মিলনমেলা আবার ফিরবে এক বছর পরে। রামপুরার সেন্টুর ভাষায়, ‘বইমেলা উপলক্ষ্যে যে সকল বন্ধুদের সঙ্গে এত বছর দেখা হয় না, তাদের সঙ্গে দেখা হয়, আড্ডা হয়। প্রাণ খুলে রাষ্ট্র, সমাজ নিয়ে কথা হয়। কিন্তু সে মেলা যখন শেষ তখন তো মন খারাপ হবেই। আসলে চাইলেই তো সারা বছর জুড়ে মেলা করা সম্ভব নয়।’

বিজ্ঞাপন

পুরো বইমেলা জুড়ে জুলাই আন্দোলনের স্মৃতি। ছবি: সারাবাংলা

নানাবিধ কারণে এবারের মেলায় বই এসেছে আগের বছরের তুলনায় অনেক কম। অনেক জনপ্রিয় লেখকের বইও আসেনি। যাদের এসেছে তারা যদি আগের বছরগুলোতে ৩-৪টি করে বই প্রকাশ করতেন, তারা এবার করেছেন ১-২টি করে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনসহ নানাবিধ কারণে এবারের বইমেলায় পাঠকের চেয়ে সেলফি শিকারীর সংখ্যা ছিল বেশি।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সবর উপস্থিতি ছিল মেলা জুড়ে। ছবি: সারাবাংলা

উত্তেজিত জনতার দাবির মুখে ‘সাব্যসাচী’র স্টল কিংবা স্যানিটারি ন্যাপকিনের স্টল বন্ধের ঘটনা ছাড়া বড় কোনো সমস্যা ছাড়ায় শেষ হয়েছে বইমেলা। প্রকাশকরা বলেছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে এবার মেলা একদমই জমেনি বলব। তবু যতটুকু বিক্রি হয়েছে তাতে আমরা মন খারাপ করছি না। আশা করছি সামনের বছর মেলা আগের রূপ ফেরত পাবে।

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫। ছবি: সারাবাংলা

মেলায় এবার সবচেয়ে বড় উৎপাত ছিল হকাররা। পুলিশ, আনসার, র‍্যাবের অফিস, টহল থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিনই ঢুকেছে তারা। এমনকি ভিক্ষুক, হিজরাদের ভিক্ষা কিংবা চাঁদা চাইতেও দেখা গেছে। তবে স্বস্তির বিষয় ছিল এবারের মেলায় ধূলাবালি কিছুটা কম ছিল। দুদিন বৃষ্টি হলেও আগের বছরগুলোর মতো স্টলের বই ভিজেনি।

চানাচুরওলার বিক্রি বেশ বেড়েছিল। ছবি: সারাবাংলা

শিশুসাহিত্যিক মাসুম আওয়াল সারাবাংলাকে বলেছেন, ‘অনেকে বলছে এবার মেলায় বেচা-বিক্রি ভালো হয়নি। কিন্তু বইমেলা তো শুধু বেচা বিক্রির জায়গা না। এখানে পাঠক সরাসরি লেখকের দেখা পায়। নবীন-প্রবীণ লেখকরা একসঙ্গে বসে আড্ডা দেয়। আমি তো বলব আগের বছরের তুলনায় প্রচুর মানুষ এসেছে। মানুষকে আসতে না দিলে পাঠক তৈরি হবে কীভাবে?’

বিদায় বেলায় ধনিয়া থেকে আসা রাজিব কিছু আশাবাদ ব্যক্ত করেন সারাবাংলার কাছে। তিনি বলেন, ‘এবারের মেলায় স্টলগুলো খুঁজে পেতে বেশ অসুবিধা হয়েছে। আমাদের চাওয়া থাকবে প্রতিটা গলির মুখে যেন একটা নির্দেশিকা থাকে, যা দেখে সহজেই আমরা সহজেই স্টল খুঁজে পাই। ঝড় বৃষ্টি আসলে আমাদের দাঁড়ানোর তেমন কোনো জায়গা নেই মেলায়, সেটারও যেন একটা ব্যবস্থা করা হয়।’

সারাবাংলা/এজেডএস/ এইচআই

অমর একুশে বইমেলা বইমেলা ২০২৫

বিজ্ঞাপন

পদত্যাগ করলেন শিল্পকলার ডিজি
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:২৫

সাঙ্গ হলো প্রাণের মেলা
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর