Saturday 01 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাকিস্তানের মাদরাসায় আত্মঘাতী হামলায় নিহত বেড়ে ৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১ মার্চ ২০২৫ ১৩:৪১ | আপডেট: ১ মার্চ ২০২৫ ১৬:১১

পাকিস্তানের দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদরাসার মসজিদে বোমা হামলায় বিপর্যস্ত স্থান। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি মাদরাসায় আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট ধর্মীয় পণ্ডিত হামিদ-উল-হক।

পুলিশ জানায়, হামলাটি শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের আকোড়া খাট্টাক শহরের দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদরাসার মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

হামলাটি বিশেষভাবে জামিয়াত উলেমা ইসলাম-সামি (জেইউআইএস) প্রধান হামিদ-উল-হককে লক্ষ্য করে করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাদেশিক পুলিশপ্রধান জুলফিকার হামিদ নিশ্চিত করেছেন যে, এটি ছিল আত্মঘাতী বোমা হামলা। হামলায় তিনজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

সরকারি কর্মকর্তারা হামলার নিন্দা জানিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমাদের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সংকল্প দুর্বল করতে পারবে না।’

এখনও পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ইসলামিক স্টেটের খোরাসান শাখা (আইএসকেপি) হামলাটি চালিয়ে থাকতে পারে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইহসানুল্লাহ টিপু বলেন, ‘এই মাদরাসাটি ও এর ইতিহাস বিবেচনায় নিলে আইএসকেপির হামলা চালানোর সম্ভাবনাই বেশি। তাদের সঙ্গে আফগান তালেবান ও তাদের সমর্থকদের আদর্শগত বিরোধ রয়েছে।’

দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদরাসাটি ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি আফগান তালেবানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততার জন্য পরিচিত। মাদরাসাটির সাবেক প্রধান ছিলেন হামিদ-উল-হকের বাবা সামি-উল-হক, যিনি ‘তালেবানের পিতা’ নামে পরিচিত ছিলেন। ২০১৮ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে সামি-উল-হককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আফগান তালেবানের অনেক নেতা এই মাদরাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন, যার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি রয়েছেন।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মসজিদে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পেশোয়ারের একটি পুলিশ কমপ্লেক্সের মসজিদে আত্মঘাতী হামলায় ১০০ জনের বেশি পুলিশ সদস্য নিহত হন। আইএসকেপি ওই হামলার দায় স্বীকার না করলেও এর আগে তারা পাকিস্তানে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৩ সালে দেশটিতে দেড় হাজারের বেশি মানুষ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন, যার বেশিরভাগের দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)।

সারাবাংলা/এনজে

নিহত পাকিস্তান বোমা হামলা মাদরাসা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর