Monday 31 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইবিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ২ নেতাকর্মী আটক, থানায় সোপর্দ

ইবি করেসপন্ডেন্ট
২ মার্চ ২০২৫ ১৭:২৫ | আপডেট: ২ মার্চ ২০২৫ ১৯:৪৪

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মাজহারুল ইসলাম নাঈম ও মারুফ আহম্মেদ। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমাজকল্যাণ বিভাগে পরীক্ষা দিতে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মী। পরে তাদের ইবি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

রোববার (২ মার্চ) দুপুর সোয়া একটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আটক দু’জন হলেন- নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম নাঈম ও ‘সক্রিয় ছাত্রলীগ কর্মী’ মারুফ আহম্মেদ। তারা উভয়ই ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা জানান, বিভাগটির চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছিল। রোববার অনুষদ ভবনের ২৩১ নম্বর কক্ষে বেলা সাড়ে ১১টায় পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলার দেড় ঘণ্টা পর কক্ষের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে তাদের দু’জনকে বের করে আনা হয়। এর পর ভবনের নিচতলায় এলে মারুফকে মারধর করা হয়। এ সময় উভয়কে প্রক্টরিয়াল বডির গাড়িতে করে থানায় সোপর্দ করা হয়।

জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর অনুষদ ভবনের সামনে মারুফকে ধরিয়ে দিতে ‘নির্যাতিত সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে একটি পোস্টার টানানো হয়। সেখানে লেখা ছিল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ আহমেদ নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় ক্যাম্পাসে ভীতিকর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এই কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে যেখানেই পাবেন ধরিয়ে দিন।

সেখানে লেখা ছিল, পাওয়ার দেখিয়ে ক্যাম্পাসের দোকানগুলো থেকে বিনামূল্যে খাবার খাওয়া, শিবির ট্যাগ দিয়ে হল থেকে সাধারণ নিরীহ শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া ও নির্যাতন করা, নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হওয়া, জুনিয়রদের রাত-বিরাতে ডেকে র‌্যাগ দেওয়া, ভিন্ন মতের যে কাওকে নির্যাতনের থ্রেট দেওয়া ও ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপরাধমূলক কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। আমরা নির্যাতিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই সন্ত্রাসীর যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করবো ইনশা-আল্লাহ।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দিয়েছেন বিভাগের শিক্ষকরা। চিঠিতে বিভাগীয় সভাপতি আসমা সাদিয়া রুনা, শিক্ষক শ্যাম সুন্দর সরকার ও মমতা মুস্তারী সই করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুখলেসুর রহমান সুইট বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও তাদের দোসরদের কোনো ছাড় হবে না। যারা তাদের প্রশ্রয় দিবে তাদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না। যেসব খুনিদের হাতে শহিদদের রক্ত লেগে আছে তাদের কার্যক্রম চালানোর কোনো অধিকার নেই।’

বিভাগের সভাপতি আসমা সাদিয়া রুনা বলেন, ‘তারা দুই জন আমাদের না জানিয়েই পরীক্ষা দিতে এসেছিল। জানার পর তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘তারা পরীক্ষা দিতে আসার পর বিভাগের সভাপতি আমাকে ফোন করে জানায়। আমি বলেছিলাম, তাদের বের করার ব্যবস্থা করেন। শিক্ষার্থীরা তখন বিভাগের সামনে অবস্থান করছিল। পরে বিভাগের শিক্ষকরা প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তা নিয়ে থানায় হস্তান্তর করেন।’

ইবি থানার ওসি বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই জনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে নিষিদ্ধ সংগঠন সংক্রান্ত (সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০১৩) একটি মামলা আমাদের থানায় রয়েছে। সেই মামলাতেই তাদের চালান করা হবে।’

সারাবাংলা/পিটিএম

আটক ইবি ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ নেতাকর্মী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর