প্রথম রোজায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই মেট্রোরেলে
২ মার্চ ২০২৫ ১৯:০৪ | আপডেট: ২ মার্চ ২০২৫ ২০:৩৬
ঢাকা: দেশে আজ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। তাই পরিবারের সঙ্গে প্রথম রোজার ইফতার করার উদ্দেশ্য প্রায় সবারই। তাই অফিস বা কাজ শেষে ইফতারের আগে বাসায় ফিরার তাড়না নিয়ে বের হয়েছে মানুষ। ফলে প্রচন্ড চাপ দেখা গেছে মেট্রোরেলে।
রোববার (২ মার্চ) বিকেল ৩টার পর থেকে মেট্রোরেলে মানুষের চাপ এতোটাই বেড়েছে যে যেন তিল ধারণেরও ঠাঁই নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, মতিঝিল স্টেশন থেকেই পুরোপুরি মানুষে ভরে যাচ্ছে মেট্রোরেলের বগি। এরপর সচিবালয় স্টেশন থেকে প্রচন্ড ধাক্কাধাক্কি করে লোকজন মেট্রোরেলে উঠছে। এ সময় চাপ এতোটাই তীব্র আকার নিয়েছে যে একজনের সঙ্গে আরেকজনের চুল পরিমাণও ফাঁকা থাকছে না।
সচিবালয় থেকে মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশনগামী মারফত আলামিন বলেন, ‘সময় বেশি নাই। দেড় ঘণ্টায় বাসে করে বাসায় যাওয়া সম্ভব নয়। বাসে গেলে ইফতার পাব না। তাই মেট্রোতে উঠেছি। কিছু করার নাই, ধাক্কাধাক্কি হবেই। কারণ, সবাইকে তো যেতে হবে। এটা একটু মানিয়ে নিতে হবে।’
তাহমিনা আক্তার মতিঝিল স্টেশন থেকে উঠেছেন। তিনি বলেন, ‘এখান থেকেই সিট খালি পাইনি। পুরো বগি ভরে গেছে। কিন্তু তারপরও মানুষ বাঁধ ভাঙা স্রোতের মতো ধাক্কা দিয়ে উঠছে। এতে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। আমাদেরকে আরেকটু সচেতন হওয়া দরকার।’
টিকিট কাউন্টারের লোকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ‘এর আগের বছরের রমজান মাসেও মেট্রোরেলে প্রচন্ড চাপ ছিল। এবার অনেক চাপ। যাত্রীদের জন্য আজ চেয়ার থেকেও উঠার সময় পাইনি। অন্যান্য সময়ও মেট্রোরেলে চাপ থাকে। কিন্তু রমজান মাস পুরোটাই এই চাপ তীব্র আকার ধারণ করে থাকে।’
উল্লেখ্য, মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর থেকেই সর্বস্তরের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই যানটি। প্রায় সব সময় ভিড় লেগেই থাকে মেট্রোরেলে। কিন্তু রোজায় দ্রুত বাসায় ফিরার জন্য মেট্রোরেলে থাকে বাড়তি চাপ।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন হয়।
সারাবাংলা/এমএইচ/এসডব্লিউ
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) মেট্রোরেল রোজায় ভিড়