পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৩ দফা দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের
৩ মার্চ ২০২৫ ১৬:৪৬ | আপডেট: ৩ মার্চ ২০২৫ ১৮:৫৩
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সংবাদ সম্মেলন।
ঢাবি: বৈষম্যমূলক কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ও ছাত্র-নাগরিক গনঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের সুচিকিৎসা, পুর্নবাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
এ সময় তারা প্রাইমারি-হাইস্কুলসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান সকল কোটা বিলোপ, পাশাপাশি রেলওয়ের চাকরিতে বিদ্যমান পোষ্য কোটা বাতিল, গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ও শহিদ পরিবারকে এককালীন ১ কোটি টাকা এবং আহতদের পঞ্চাশ লক্ষ টাকা সহায়তা দেয়ার দাবি উত্থাপন করেন।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর দুইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, যে কোটা বিলোপের দাবিতে আমাদের এতো সংগ্রাম, মাত্র ৭ মাসের ব্যবধানে সে কোটা আবার ফিরে এসেছে। কোটা চালুর মাধ্যমে সরকার গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা মনে করি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মূল্যায়নের মাপকাঠি মেধা ছাড়া অন্য কিছু হওয়া উচিত না।
তিনি বলেন, রেলওয়ে চাকরিতে এবং প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো পোষ্য কোটা বহাল আছে। সরকার গত ৭ মাসে এ সবের কোনো সমাধান দেয়নি। বৈষম্যমূলক এ সকল কোটা বিলোপ না করলে তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন গড়ে তুলব।
বিন ইয়ামিন মোল্লা আরও বলেন, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় কোটা পুনর্বহাল করেছে। এ সরকার যে লক্ষ্যে ক্ষমতায় বসেছে তা সম্পন্ন করতে পারেনি। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং পুনর্বাসন, রাষ্ট্র সংস্কার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ–কোনো কাজেই তারা সফল হয়নি। বরং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে দিয়েছে। মানুষের নিরাপত্তার নিশ্চিয়তা নেই। এ পরিস্থিতিগুলো ধামাচাপা দিতে সরকার এটি করেছে।
কোটা ব্যবস্থা চালুর কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, কোটার মাধ্যমে তারা বোঝাতে চায়–জাতীয় নির্বাচনে যারা সাথে থাকবে তাদের এ সুযোগ সুবিধাগুলো দেওয়া হবে। এগুলো বলে মানুষকে কাছে ভিড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিন ইয়ামিন মোল্লা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর সর্বপ্রথম কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয় উপদেষ্টা নিয়োগে। ছাত্র কোটায় উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়। সকল দলের সংমিশ্রণে গড়ে উঠা বৈষম্যবিরোধী প্লাটফর্ম থেকে সবাইকে বের করে দেয়া হয়। কোটার ভিত্তিতে বিভিন্ন কমিশনে ছাত্র প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এআইএন/