Monday 03 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্যাংক কর্মকর্তার পরিচয়ে নারীর টাকা নিয়ে পালাল ৩ প্রতারক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩ মার্চ ২০২৫ ২১:২৬ | আপডেট: ৩ মার্চ ২০২৫ ২৩:৪৭

ব্যাংকে টাকা তোলার পর প্রতারণার শিকার হন এক নারী। সিসি টিভি ফুটেজ

রাজশাহী: সোনালী ব্যাংকে নিজের জমানো অর্থ উত্তোলন করতে এসেছিলেন খাদিজা বেগম নামের এক নারী। কাউন্টারে চেকও জমা দেন। পেছন থেকে এক ব্যক্তি নিজেকে ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আপনাকে জাল নোট দেওয়া হয়েছে। এটা পরিবর্তন করতে হবে।’ তিনি সরল বিশ্বাসে তার উত্তোলিত টাকাগুলো তাদের হাতে দেন। কৌশলে ওই তিন ব্যক্তি টাকা নিয়ে সরে পড়েন ব্যাংক থেকে।

ঘটনাটি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখায়। সোমবার (৩ মার্চ) সকালে এই ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

খাদিজা বেগম (৪৫) উপজেলার চানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ইদ ও রোজার কেনাকাটা জন্য ৬৮ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এই টাকাগুলো তিনি জমিয়ে রেখেছিলেন। বিকেলে তিনি বাগমারা থানায় জিডিও করেছেন।

জানা গেছে, সকালে ব্যাংকের ওই শাখায় টাকা উত্তোলনের জন্য যান খাদিজা। নিজের জমানো টাকা থেকে ৬৮ হাজার টাকা একটি চেকের মাধ্যমে তুলতে চান তিনি। এ জন্য চেকটি নারী গ্রাহকদের বুথে জমা দেন। এ সময় তার পেছনে পরিপাটি অবস্থায় তিন ব্যক্তি ছিলেন। ব্যাংক থেকে টাকা বুঝে পাওয়ার পর ওই তিন ব্যক্তি তার কাছাকাছি আসেন। এদের মধ্যে একজন নিজেকে ব্যাংকের লোক হিসেবে পরিচয় দিয়ে জানান, ভুলক্রমে তাকে জাল টাকা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো পালটে আসল নোট দেওয়ার আশ্বাসে টাকাগুলো ওই নারীর কাছ থেকে নেন তারা। পাশের কাউন্টারে যাওয়ার কথা বলে তারা কৌশলে ব্যাংকের ভেতর থেকে দ্রুত সরে পড়েন।

পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও স্বজনদের বিষয়টি জানানো হয়। ব্যাংকের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ওই তিন ব্যক্তিকে শনাক্ত এবং টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। তবে তাদের শনাক্ত করতে না পেরে বিকেলে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

খাদিজা বেগম জানান, প্রতারক নিজেকে ব্যাংকের লোক পরিচয় দেওয়াতে বিশ্বাস হয়েছে। ব্যাংকের ভেতরে এ রকম হবে, তা ভাবতেও পারেননি। তিনি টাকা উদ্ধারসহ প্রতারকদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সিসি ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে, প্রতারকেরা আগে থেকেই ওই নারীকে অনুসরণ করেছে। সুযোগ বুঝে টাকা নিয়ে সটকে পড়েছে। তাদের পরে জানানো হয়েছে। গ্রাহককে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে।

বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। প্রতারকদের ধরার চেষ্টা চলছে।’

সারাবাংলা/এইচআই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর