স্কুলমাঠে হাটের প্রস্তুতি, জানে না কর্তৃপক্ষ!
৩ মার্চ ২০২৫ ২৩:২৩
নীলফামারী: ডোমারে পাঙ্গা মহেশ চন্দ্র লালা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অস্থায়ী হাট বসানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই এলাকার শিশুদের স্বাভাবিক খেলাধুলা ও দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠের এক কোণে মাসব্যাপী মরিচের হাট বসানোর জন্য বাঁশ দিয়ে দোকান তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে মাঠের একটি অংশ দখল হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেকের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার কয়েকজন অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের মাঠ শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য নির্ধারিত জায়গা। সেখানে হাট বসানোর ফলে এলাকার শিশুরা খেলতে পারছে না, পাশাপাশি হাটের বর্জ্যে পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। আমরা নিষেধ করায় ব্যবসায়ীরা আমাদের হুমকি দিয়েছে।
স্কুলমাঠে খেলতে আসা শিশুরা হাট বসানোর ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে বলে, আমরা প্রতিদিন বিকেলে এখানে খেলতে আসি। কিন্তু এখন মাঠের এক পাশে দোকান বসানো হচ্ছে। জায়গা কমে যাওয়ার আমরা ঠিকমতো খেলাধুলা করতে পারছি না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু জাফর সামসুদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কোনো কিছু না জানিয়েই হাট বসানোর কাজ শুরু করেছে। বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসানো কোনোভাবেই উচিত নয়। কারণ, এটি বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে। সেইসঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আশরাফুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। যদি এটা করা হয়, আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেব। বিদ্যালয়ের মাঠ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। যদি সেখানে অবৈধভাবে হাট বসানো হয়, তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মেলাপাঙ্গা হাট পরিচালনা কমিটির সভাপতি নূর আলম বলেন, ‘স্কুল মাঠের পাশের জমিটি ব্যক্তিমালিকানাধীন এবং সেখানেই হাট বসানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে স্কুল মাঠের একটা অংশে কিছু দোকান বসানোর কাজ চলছে। এ বিষয়ে এখনো স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি।’
ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম বলেন, ‘স্কুল ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। খাস জমি ছাড়া স্কুলের মাঠে হাট বসানোর অনুমতি কারও নেই। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/পিটিএম