বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কুয়েটের ২ প্রকৌশলীকে হুমকির অভিযোগ
৪ মার্চ ২০২৫ ১০:৪১
খুলনা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দুই প্রকৌশলীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৩ মার্চ) এ ঘটনায় ওই দুই প্রকৌশলী নিরাপত্তা চেয়ে উপাচার্যের কাছে অভিযোগ করেছেন। দুই প্রকৌশলী হলেন- কুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াত ও মো. গোলাম কিবরিয়া।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, কুয়েটের ১৩ নম্বর ভবনের ছাদের ওপর ওয়াটার প্রুফিংয়ের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার ও বিএনপি নেতা মোল্লা সোহাগ তাদের হুমকি দেয়।
জানা গেছে, কুয়েটের ১৩ নম্বর ভবনের ছাদের ওপর ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজ নেন মোল্লা সোহাগ। কাজটি কয়েক দিন আগে শুরু হয়। গত রোববার বিকেলে ঠিকাদার সোহাগ প্রথমে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এবিএম মামুনুর রশিদ এবং অন্য নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেন। গালাগাল করতে নিষেধ করলে তিনি গোলাম কিবরিয়াকেও গালাগাল ও হুমকি দেন। পরে তিনি একই পরিচয় দিয়ে আবু হায়াতকে ফোনে গালাগাল ও হুমকি দেন।
ভিসির কাছে লিখিত অভিযোগে ওই দুই প্রকৌশলী উল্লেখ করেন, ওয়াটারপ্রুফিং কাজের দর প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের প্রকৌশলীরা বাজারদরের সঙ্গে সরকারি নিয়মে ভ্যাট, আইটি ও ১০ শতাংশ লাভ (পূর্বনির্ধারিত) যুক্ত করে নির্ধারণ করেন। ঠিকাদার সোহাগ ১০ শতাংশ লাভ কেন যুক্ত করে দর নির্ধারণ করা হয়েছে; তাকে আরও বেশি লাভ দিতে হবে বলে ফোনে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়াকে জানান। এ কথা বলার পর গোলাম কিবরিয়া অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু কোনো কথা না শুনে ফোনে দুই নির্বাহী প্রকৌশলীকে গালাগাল ও মারধরের হুমকি দেন সোহাগ। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন।
এদিকে রোববার সন্ধ্যার দিকে মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন আবু হায়াত। এ সময় বাড়ির সামনে তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, একটি মোটরসাইকেলে সোহাগসহ তিনজন অভিযোগ করার বিষয়ে জানতে চান। এক পর্যায়ে আমার গায়ে হাত তোলেন এবং আমার চশমা খুলে নিয়ে যান।
তবে নিজের সাংগঠনিক পরিচয় ও প্রকৌশলীকে ফোন দেওয়ার কথা স্বীকার করে মোল্লা সোহাগ বলেন, ‘আমি কোনো জায়গায় কোনো টেন্ডারেও যাই না, কোনো ঠিকাদারিতেও নেই। আমার কোনো কাজ কুয়েটে চলে না। আমার ট্রেড লাইসেন্সই নেই, কাজ পরের কথা। আমি তাদের (প্রকৌশলী) ফোন দিয়েছিলাম, কথা হয়েছে। তবে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।’
সারাবাংলা/ইআ