কানাডা, মেক্সিকো, চীনে ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণায় মার্কিন শেয়ারে ধস
৪ মার্চ ২০২৫ ১৩:৪৯ | আপডেট: ৪ মার্চ ২০২৫ ১৪:৩১
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ায় সোমবার (৩ মার্চ) মার্কিন শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধস নেমেছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রচারিত হয়েছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, দীর্ঘ আলোচনা সত্ত্বেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, ফলে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) থেকেই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। এছাড়া, চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনাও রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের তিন প্রধান বাণিজ্য অংশীদারের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে অন্যায্য বলে আখ্যা দিয়ে পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি জানান, দেশটি মার্কিন আমদানির ওপর ১৫৫ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের (১০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) পালটা শুল্ক আরোপ করবে। প্রথম ধাপে ৩০ বিলিয়ন ডলারের শুল্ক আরোপ করা হবে, যা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে প্রযোজ্য হবে।
মেক্সিকোও শুল্কারোপের পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম বলেছেন, ‘সহযোগিতা ও সমন্বয় সম্ভব, কিন্তু অধীনতা নয়।’
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতিকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে এবং সম্ভাব্য পালটা ব্যবস্থা হিসেবে মার্কিন কৃষি ও খাদ্যপণ্যে শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন গত মাসে কানাডা ও মেক্সিকোর জন্য শুল্কারোপ এক মাস পিছিয়ে দিয়েছিলো তবে চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছিল। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর মোট ২০ শতাংশ শুল্ক বসবে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই শুল্ক ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পখাত রক্ষা এবং বাণিজ্য ভারসাম্য পুনঃস্থাপনে সহায়ক হবে।
তিনি আরও জানান, ‘যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা স্থাপন করে, তাহলে কোনো শুল্ক দিতে হবে না।’
এদিকে, ট্রাম্প ১২ মার্চ থেকে সমস্ত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও একই নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নতুন শুল্ক নীতি বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে, যা বিশ্ব অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সারাবাংলা/এনজে