চট্টগ্রামে ৭০০ পাখি হত্যার পর ধরা তিন শিকারি
৫ মার্চ ২০২৫ ১৬:৫৪ | আপডেট: ৫ মার্চ ২০২৫ ১৬:৫৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় প্রায় ৭০০ পাখি হত্যার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোঁরায় বিক্রির উদ্দেশে পাখিগুলোকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে উপজেলার পরিষদের গেটে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় তল্লাশি চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার তিনজন হলেন- মো. ছৈয়দুল আলম (৬০), মো. ইদ্রিস (৬৫) ও মো. সোহেল (৩০)। তারা চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, অটোরিকশায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার তিন জনের হেফাজত থেকে তিনটি বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বস্তা থেকে ১৩৫টি শালিক, আরেকটি থেকে ৪২২টি চড়ুই ও তৃতীয় বস্তা থেকে ১৪০টি বাবুইসহ মোট ৬৯৭টি জবাই করা পাখি উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনটি বস্তা থেকে জবাই করা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ১৩৫টি শালিক, ৪২২টি চড়ুই ও ১৪০টি বাবুই পাখি
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিন জন জানিয়েছেন, তারা আনোয়ারার ইছামতী নদীর তীরসহ আশপাশের এলাকা থেকে পাখিগুলো শিকার করেছেন। এরপর সেগুলো জবাই করে হত্যা করেন। গত (মঙ্গলবার) রাতে সেগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাচ্ছিলেন। শহরে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোঁরায় বিক্রির জন্য সেগুলো সরবরাহ করার কথা ছিল। বিক্রির আগে সেগুলো ড্রেসিং করা হয়, এরপর রান্না করে বিভিন্ন নামে পাখির মাংস হিসেবে বিক্রি করা হয়।’
‘এভাবে পাখি শিকার এবং হত্যা করা খুবই অমানবিক কাজ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা তাদের গ্রেফতার করি। তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হয়েছে। আজ (বুধবার) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
দেশের আইনে পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ। ১৯৭৪ সালে বন্যপ্রাণী রক্ষা আইন ও ২০১২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল, এক লাখ টাকা দণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত। একই অপরাধ আবার করলে শাস্তি ও জরিমানা দ্বিগুণের বিধানও রয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/এসডব্লিউ