জুয়ার টাকা জোগাতে সহকর্মীকে হত্যা, গ্রেফতার ২
৫ মার্চ ২০২৫ ১৭:২৬ | আপডেট: ৫ মার্চ ২০২৫ ২০:২৯
নরসিংদী: নরসিংদীতে অনলাইন জুয়ায় টাকা জোগাতে পরিকল্পিতভাবে দুই বন্ধু মিলে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তাদেরই সহকর্মী এরশাদকে (২৫)। হত্যার পর বাইসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় বিল্লাল রনি (২২) ও ফরহাদ মিয়া (২১) নামে দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সহকর্মীকে হত্যার এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানায়। এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে পৌর শহরের নাগরিয়াকান্দি এলাকা থেকে সাইজিং মিল শ্রমিক এরশাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত এরশাদ নরসিংদী সদর উপজেলার শান্তিভাওলা গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি এরশাদকে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন নিহতের বড় ভাই হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওই দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারী বিল্লাল রনি রায়পুরা উপজেলার করইতলা এলাকার রহমান মিয়ার ছেলে ও ফরহাদ মিয়া নারায়নগঞ্জ জেলার বন্ধর থানার লক্ষনখোলা এলাকার মো. ইমাম হোসেনের ছেলে। তারা তিনজনই চৌয়ালাস্ত চিশতিয়া সাইজিং মিলে চাকরি করতেন।
পিবিআইয়ের নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, বিল্লাল রনি অনলাইনে জুয়া খেলে ঋণগ্রস্ত হন। পরে বন্ধু ফরহাদকে সঙ্গে নিয়ে সহকর্মী এরশাদকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ভিকটিম এরশাদ কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার সময় ওৎপেতে থাকা রনি ও ফরহাদ তাকে একটি বালুর মাঠে নিয়ে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধ করে। হত্যার পর সাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায়। পরে তারা বাইসাইকেল ৯০০ টাকা ও মোবাইল ১৫০০ টাকায় বিক্রি করে। অভিযুক্তরা আগ থেকেই নিহত এরশাদের বিকাশের পাসওয়ার্ড জানতে পারায় তার বিকাশে থাকা ৬ হাজার পাঁচশত টাকা উত্তোলন করে।
এ ঘটনায় মামলা করা হলে ১২ ফেব্রুয়ারি পিবিআই ফরহাদকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে বিল্লাল মিয়া রনিকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
সারাবাংলা/এসআর