ইস্কাটনে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারুক মারা গেছেন
৫ মার্চ ২০২৫ ২০:০৩ | আপডেট: ৫ মার্চ ২০২৫ ২৩:২৬
ঢাকা: রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি ভবনে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ফারুক মীর (৪০) মারা গেছেন।
বুধবার (৫ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ফারুকের শরীরের ৪৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার শাওন বিন রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিউ ইস্কাটন বিয়াম কার্যালয়ের ভবনের পঞ্চম তলায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অফিস সহকারী আব্দুল মালেক খান (৪০) মারা যান।
মৃত ফারুক মীরের ছোট ভাই মো. তোফায়েল মীর জানান, তাদের বাড়ি ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর গ্রামে। বাবার নাম মফিজ মীর। থাকতো বিয়াম কার্যালয়ে। মাস্টার রোলে বিয়াম কার্যালয়ে সচিব পদমর্যাদার মোশারফ হোসেনের গাড়িচালক ছিলেন। এর আগে দীর্ঘ ১৫ বছর ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গাড়ি চালাতেন। স্ত্রী ফারজানা আক্তার ফাহিমা ও এক মেয়ে দুই ছেলে গ্রামের বাড়িতে থাকেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এতদিন ডিসি অফিসের গাড়ি চালাইতো। কিন্তু ঘটনার পর থেকে কেউ ফারুককে হাসপাতালে দেখতে আসেনি।’
ঘটনার সময় হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নিউ ইস্কাটনের ওই ভবনে পাঁচতলায় থাকতো দুজন। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এসি বিস্ফোণে দুজন দগ্ধ হয়। পরে আহত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে আব্দুল মালেক খানকে শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দগ্ধ ফারুক (৪০) জাতীয় বার্ন ইনস্টিউটে ভর্তি ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাতে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।’
মৃত মান্নান খানের ছোট ভাই সোহেল খান জানান, তাদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত আলী খান। তার ভাই মালেক বিয়াম কার্যালয়ের অফিস সহকারী ছিল। ওই কার্যালয়েই থাকতেন তিনি। ওই রাতে মালেক গাড়িচালক ফারুকের সঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন। পরে ঘরের এসি বিস্ফোরণে হয়।
সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম