যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি স্থগিত করেছে, যা দেশটির প্রতি মার্কিন সমর্থনের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। বুধবার (৫ মার্চ) মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওয়াল্টজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একধাপ পেছনে সরে এসেছি। ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পর্কের সব দিক পর্যালোচনা ও স্থগিত করছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করে আসছিল। তবে গত সপ্তাহে ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে এক উত্তপ্ত বৈঠকের পর সোমবার (৩ মার্চ) সামরিক সহায়তাও স্থগিত করা হয়।
তবে এ বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় যে, গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে নাকি আংশিকভাবে স্থগিত রয়েছে।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা ওয়াল্টজ জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি মৃদু সমঝোতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, এবং আলোচনার অগ্রগতি হলে এই স্থগিতাদেশ শিথিল করা হতে পারে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ‘সামরিক সহায়তা বাতিল করা হয়নি, বরং এটি পুনর্বিবেচনার পর্যায়ে আছে।’
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি ও সামরিক সহায়তা বন্ধ হলে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশলগত অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা মিক মুলরয় বিবিসিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সহায়তা বন্ধ হলে ইউক্রেন তাৎক্ষণিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ইউরোপীয় মিত্ররা এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করতে পারবে না। ফলে রাশিয়া আগ্রাসন আরও বাড়াতে পারে এবং আলোচনার পথ আরও দূরে সরে যেতে পারে।’