উ.কোরিয়ায় ফের বন্ধ হলো পর্যটন
৬ মার্চ ২০২৫ ১৩:৫২ | আপডেট: ৬ মার্চ ২০২৫ ১৫:০৪
উত্তর কোরিয়া দেশটিতে পর্যটন কার্যক্রম পুনরায় চালুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আবারও বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
২০২০ সালের শুরুর দিকে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উত্তর কোরিয়া নিজেকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করেছিল। এরপর ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু করে।
২০২৪ সালে দেশটি রাশিয়ান পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়। তবে গত মাসে প্রথমবারের মতো পশ্চিমা পর্যটকদের জন্য উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর রাসন খুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু এখন বেশ কয়েকটি পর্যটন সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সফর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়াং এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
চীনভিত্তিক পর্যটন সংস্থা কেটিজি ট্যুরস বুধবার (৫ মার্চ) সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছে, ‘আমাদের কোরিয়ান অংশীদারদের কাছ থেকে খবর পেয়েছি যে রাসন এখন সকলের জন্য বন্ধ।’
ইয়ং পাইওনিয়ার ট্যুরস এবং কোরিও ট্যুরস -এর মতো অন্যান্য সংস্থাও সফর স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।
ইয়ং পাইওনিয়ার ট্যুরস জানিয়েছে, ‘যারা এপ্রিল ও মে মাসে উত্তর কোরিয়ায় সফরের পরিকল্পনা করছেন, তারা নিশ্চিত তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত ফ্লাইট বুকিং থেকে বিরত থাকুন।’
গত ২০ ফেব্রুয়ারি, পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পশ্চিমা পর্যটকরা রাসনে পৌঁছায়। উত্তর কোরিয়া এই শহরকে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে, যেখানে নতুন অর্থনৈতিক নীতি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তবে পর্যটকদের গতিবিধি আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে ট্যুর অপারেটররা। মহামারির আগের সফরগুলোর তুলনায় এবার তারা রাসনের রাস্তায় হাঁটার বা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার কম সুযোগ পেয়েছিলেন। এছাড়া ফোন সংযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাও ছিল না।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে কোরিও ট্যুরস জানিয়েছিল, পাঁচ বছর পর প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য পিয়ংইয়াং ম্যারাথন-এ অংশগ্রহণের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই ইভেন্ট এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯ সালে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার বিদেশি পর্যটক উত্তর কোরিয়া ভ্রমণ করেছিলেন, যাদের ৯০ শতাংশ ছিলেন চীনা নাগরিক ছিলেন।
সারাবাংলা/এনজে