Thursday 06 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চাল আমদানির ক্ষেত্রে পাকিস্তান একটি ভালো উৎস: খাদ্য মহাপরিচালক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ মার্চ ২০২৫ ১৬:৫৩ | আপডেট: ৬ মার্চ ২০২৫ ১৯:২৬

পাকিস্তান থেকে আমদানি করা চাল নিয়ে গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে জাহাজ। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে চাল খালাস শুরু হয়েছে। খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর চাল খালাস কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন – ছবি : সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা চাল খালাস কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর। এ সময় তিনি বলেছেন, ‘চাল আমদানির ক্ষেত্রে পাকিস্তান বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো উৎস। এ ধরনের বিকল্প উৎস যত থাকবে, ক্রেতা হিসেবে আমাদের তত সুবিধা হয়। সরবরাহ যত বেশি হবে, ক্রাইসিস তত কমবে।’

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে বন্দরের ‘চট্টগ্রাম কনটেইনার টার্মিনাল’ (সিসিটি-১) জেটিতে চাল খালাস কার্যক্রম পরিদর্শনে যান মহাপরিচালকসহ খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতনকমকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। মোট ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আসবে। এর মধ্যে এখন যে জাহাজটা এসেছে, সেখানে ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন এসেছে। পাকিস্তানে ভালো চাল উৎপাদন হয়।’

উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় সরকারি পর্যায়ে পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর আওতায় মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পাকিস্তানের কাসিম বন্দর থেকে প্রথম চালানের চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি সিবি’। বুধবার সেটি সিসিটি-১ জেটিতে ভেড়ানো হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে চাল খালাস শুরু হয়েছে।

জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি রেনু শিপিং লাইন্সের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আরফান জানিয়েছেন, পাকিস্তান থেকে প্রথম চালানের বাকি চাল রমজানের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছবে।

গত দেড় দশকে সরকারি চুক্তির আওতায় চাল নিয়ে পাকিস্তান থেকে এই প্রথম একটি জাহাজ বাংলাদেশে এসেছে বলে শিপিং ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, ‘আজকের হিসেব অনুযায়ী, ১৫ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টনের মতো চাল মজুত আছে। আমরা এখন স্টেবল পজিশনে আছি। চাহিদা এবং মজুত যথাযথ আছে। ১৩ লাখ, সাড়ে ১৩ লাখের নিচে মজুত থাকলে, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকি।

‘বর্তমানে বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের মোট সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি আছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, চাহিদা ও মজুত পরিস্থিতি দেখে আমরা প্রয়োজনে আবারও চুক্তি করবো, আবার চাল নিয়ে আসবো।

তিনি আরও জানান, চুক্তির বিপরীতে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল, এটা শুধু পাকিস্তান না, বিভিন্ন দেশ থেকে রিসিভ করেছি। ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, ভিয়েতনাম থেকে চাল এসেছে। আশা করছি, রমজানের মধ্যে আরও ১ লাখ মেট্রিক টনের মতো আমাদের এখানে আসবে, যেগুলো পাইপলাইনে আছে।’

এত আমদানির পরও চালের দাম কমছে না কেন- জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমাদের সারাদেশে ওএমএস কার্যক্রম চলমান আছে। ১০ হাজার ৪৩ জন আমাদের ওএমএস ডিলার আছেন। এর বাইরে খাদ্যবান্ধব যে কর্মসূচি আছে, সেখানে ৫০ লাখ কার্ডহোল্ডার আছে, যারা মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। আমাদের যে অবজারভেশন, মার্কেটটা এখন ডাউন আছে আগের তুলনায়।’

হতদরিদ্রদের চাল ও গম বিতরণের পরিমাণ কমেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যন আছে, দরিদ্র মানুষকে চাল ও গম দেয়ার পরিমাণ কমেনি।’

সারাবাংলা/আরডি/আরএস

খাদ্য অধিদফতর চট্টগ্রাম বন্দর চাল আমদনি পাকিস্তান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর