আবারও স্পেসএক্স স্টারশিপের ব্যর্থ উৎক্ষেপণ
৭ মার্চ ২০২৫ ১০:২০ | আপডেট: ৭ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৬
স্পেসএক্সের স্টারশিপ মহাকাশযান বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) টেক্সাস থেকে উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিস্ফোরিত হয়েছে। এটি ছিল মঙ্গল গ্রহে ইলন মাস্কের অভিযানের জন্য নির্মিত এই রকেটের চলতি বছরে দ্বিতীয় ব্যর্থ উৎক্ষেপণ।
রকেটটি বিস্ফোরণের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, দক্ষিণ ফ্লোরিডা ও বাহামার আকাশজুড়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়েছে। স্পেসএক্সের সরাসরি সম্প্রচারে দেখা যায়, স্টারশিপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরতে থাকে এবং ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এটি স্পেসএক্সের টানা দ্বিতীয় স্টারশিপ উৎক্ষেপণ ব্যর্থতা, যা কোম্পানিটির জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। মাত্র এক মাস আগেও স্টারশিপের সপ্তম উৎক্ষেপণ বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেষ হয়েছিল। মহাকাশে মানুষ ও স্যাটেলাইট পাঠানোর জন্য ইলন মাস্কের এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পে এটি বড় ধরনের ধীরগতি সৃষ্টি করতে পারে।
৪০৩ ফুট (১২৩ মিটার) উচ্চতার রকেটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় টেক্সাসের বোকা চিকায় স্পেসএক্সের উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে উড়াল দেয়। প্রথম ধাপের সুপার হেভি বুস্টার সফলভাবে ফিরে এলেও কয়েক মিনিট পর স্টারশিপের দ্বিতীয় ধাপ মহাকাশে ঘুরতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত বিস্ফোরিত হয়।
স্পেসএক্সের প্রতিনিধি ড্যান হুয়ট বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এটি আগেরবারও ঘটেছিল, তাই আমাদের এখন কিছুটা অভিজ্ঞতা আছে।’
স্পেসএক্স জানায়, ব্যর্থতার বিষয়টি বিশ্লেষণ করতে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করছে এবং এই ব্যর্থতার কারণ চিহ্নিত করার জন্য ফ্লাইটের ডেটা পর্যালোচনা করা হবে।
বিস্ফোরণের পর ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) মিয়ামি, ফোর্ট লডারডেল, পাম বিচ ও অরল্যান্ডো বিমানবন্দরে সাময়িকভাবে বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থগিত করে এবং কিছু বিমানকে তুর্কস ও কাইকোস দ্বীপপুঞ্জের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
এফএএ জানায়, তারা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং স্পেসএক্সকে ব্যর্থতার কারণ চিহ্নিত করতে হবে। সংস্থাটির অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত স্টারশিপ আবার উৎক্ষেপণ করতে পারবে না।
এর আগে, ১৬ জানুয়ারির উৎক্ষেপণেও স্টারশিপ মহাকাশে আট মিনিট পর বিস্ফোরিত হয়, যার ধ্বংসাবশেষ ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। তখন স্পেসএক্স জানিয়েছিল, জ্বালানির পাইপলাইনে আগুন ধরে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এরপর কোম্পানিটি জ্বালানির তাপমাত্রা ও লাইন সংক্রান্ত কিছু পরিবর্তন আনে, তবে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা স্পেসএক্সের প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।
সারাবাংলা/এনজে