হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র
৭ মার্চ ২০২৫ ১৫:০৪ | আপডেট: ৭ মার্চ ২০২৫ ১৬:৪০
প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনি সংগঠন ২৭ বছর হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৯৭ সালে হামাসকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করার পর দুই পক্ষের মধ্যে এমন সংলাপ এবারই প্রথম। মূলত গাজা যুদ্ধের অবসান এবং বন্দি বিনিময়ই ছিল আলোচনার প্রধান বিষয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র হামাসের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করেছে। তবে তিনি অভিযোগ করেছেন, হামাস এখনও স্বচ্ছতা দেখাচ্ছে না। এই বিষয়ে আরও আলোচনা করতে উইটকফ শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাবেন।
হোয়াইট হাউস থেকে আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, হামাস যদি বন্দিদের মুক্তি না দেয়, তবে তাদের সদস্যরা নিরাপদ থাকবে না। একইসঙ্গে ইসরাইলকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এদিকে, ট্রাম্পের বক্তব্যের পর হামাস পালটা অভিযোগ করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে উসকানি দিচ্ছে, যা যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের শামিল। হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র এক ভিডিও বার্তায় জানান, যদি তেল আবিব নতুন করে সামরিক অভিযান চালায়, তবে বন্দিদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে। পাশাপাশি, যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনর্বহাল না হলে হামাস যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, ইসরাইলি সরকারের মুখপাত্র বলেছেন, হামাস বিনা মূল্যে কিছুই পাবে না। তিনি অভিযোগ করেন, মানবিক সহায়তা দেয়ার পরও ইসরাইল প্রতারণার শিকার হয়েছে। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা কেবল স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, বন্দিবিনিময় ও ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের শর্তে বাকি বন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি।
সারাবাংলা/এনজে