রাজশাহীতে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলি-বিস্ফোরণ
৮ মার্চ ২০২৫ ০৪:৪৩ | আপডেট: ৮ মার্চ ২০২৫ ১২:২৭
রাজশাহী: রাজশাহীতে নগরীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই রাউন্ড গুলি ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হয়েছেন। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে তিনটি মোটরসাইকেলে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত আটটা থেকে নগরীর দড়িখরবোনা এলাকায় এই সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে সংঘর্ষ রেলগেট ও সপুরায় ছড়িয়ে যায়। যা থেমে থেমে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী অবস্থান করছে ওই এলাকায়।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- আপন (৩৫), লামিয়া (০৩), লাভলী (৩৫) ও মহানগর পুলিশের বিশেষ শাখা (সিটিএসবি)-এর সদস্য তোফাজ্জল হোসেন। তাদের রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকার মুন রাবেয়া টাওয়ার থেকে আওয়ামী লীগের বোয়ালিয়া থানার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন বাবুকে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মহিলা দলের নেত্রী লাভলী। কিন্তু বাবু না পেয়ে তার ছোটভাই সাব্বিরকে ধরিয়ে দেন। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে লাভলীর বাড়িতে হামলা চালায় বিএনপির আরেকটি পক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, এই হামলায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা অংশ নেয়। হামলাকারীরা সেখান থেকে সরে এলে নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকায় লাভলী গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইটপাটকেলের আঘাতে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য তোফাজ্জলসহ আরও চার জন আহত হন।
এ সময় দড়িখড়বোনা এলাকায় থেমে থাকা তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল আজকের পত্রিকার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার জাহিদ হাসান সাব্বিরের।
সাব্বির জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালনে তিনি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থল থেকে দূরে সড়কের পাশে তার মোটরসাইকেলটি রাখা ছিল। এ সময় তার মোটরসাইকেলেও আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা।
এ ঘটনায় দড়িখড়বোনা, শালবাগান ও রেলগেট এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।
বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। সংঘর্ষের কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে।
সারাবাংলা/পিটিএম