নারী দিবস
নারী জাগরণে বাধা ক্রমবর্ধমান
৮ মার্চ ২০২৫ ১২:২৯ | আপডেট: ৮ মার্চ ২০২৫ ১২:৪৫
রাঙ্গামাটি: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, যিনি বেগম রোকেয়া হিসেবে পরিচিত। বেগম রোকেয়াকে বলা হয় নারী জাগরণের অগ্রদূত। যিনি প্রথম বাঙালি নারীবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বেগম রোকেয়া একাধারে একজন বাঙালি চিন্তাবিদ, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে খ্যাতিপ্রাপ্ত নারী। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলার ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’ জরিপেও উঠে এসেছে কৃতী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের নাম।
বাঙালি বা বাংলা ভাষাভাষী সমাজে নারী জাগরণে বেগম রোকেয়ার অবদান অনস্বীকার্য। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রদূত হিসেবে লড়াই করে গেছেন তিনি। বেগম রোকেয়ার লড়াইকে স্মরণ করে নারী অধিকার কর্মী, নারী উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, নারীনেত্রীরা বলছেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় এখনো নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। সমাজে এখনো নারী জাগরণে বাধা ক্রমবর্ধমান। সাম্প্রতিক সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতা, যৌন নির্যাতন, নারীকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। পাশাপাশি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার চেয়েও এখন নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত সবচেয়ে জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী অপি সাহা বলেন, ২০২৫ সালে এসেও নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভয়াবহ বাধা লক্ষণীয়। প্রধান বাধা হিসেবে আমি মূলত দেখতে পাই পরিবার এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নেতিবাচক চিন্তাভাবনা। এক্ষেত্রে নারীরা নিজেরাও দায়ী কম নয়। সমাজের নেতিবাচক চিন্তাভাবনার বিরোধিতা না করে চুপচাপ তা মেনে নেয়াও এক প্রকার বাধা। সব সময় ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি, শুনে এসেছি নারীরা এ কাজ করতে পারবে না ওই কাজ করতে পারবে না। নারীদের জন্য ‘না’ শব্দটি যেন সব ক্ষেত্রেই বাধ্যতামূলক, পড়াশোনা, ক্যারিয়ার ও খেলাধুলা থেকে সব ক্ষেত্রেই। অথচ আমাদের নারীদের খেলাধুলা, পড়াশোনা, ক্যারিয়ার থেকে প্রায় সকল পর্যায়ের অংশগ্রহণে সাফল্য রয়েছে। প্রত্যেক পরিবার ও সমাজের উচিত নারীর অধিকারে হস্তক্ষেপ না করে বরং তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করা। সমাজের সংকীর্ণ মনোভাবকে প্রশ্রয় না দিয়ে প্রত্যেক নারীর প্রাপ্য অধিকারগুলো তাদের উপহার দেওয়া উচিত মনে করেন তিনি।

নারী অধিকার কর্মী নুকু চাকমা ও রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী অপি সাহা।
নারী অধিকার কর্মী নুকু চাকমা বলেন, পাহাড়ি নারীরাও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বেড়ে উঠে। আর একজন কন্যা শিশুর জন্ম থেকেই সেই বাধা সামাল দিতে হয়। হয়তো কন্যা শিশু জন্ম হলে কোনো কোনো পরিবার তাকে মেরে ফেলতে চায়, দত্তক দিতে চায় কিংবা অবহেলা করে। এরপর শিক্ষা গ্রহণের সময় এলে কন্যা শিশুকে বঞ্চিত করা হয়। ছেলে শিশুকে স্কুলে পাঠালেও কন্যা শিশুকে গৃহস্থালী কাজে নিয়োজিত রাখা হয়। এতে স্বাভাবিকভাবেই একজন কন্যা শিশুর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এরপরও যারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে, তাদেরও পেশা নির্বাচনে কিংবা পেশা পছন্দে হিমশিম খেতে হয়। চ্যালেঞ্জিং পেশাগুলোতে নারীদের সুযোগ দেওয়া হয় না।
নুকু চাকমা আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়গুলোতে নারীর নিরাপত্তা হুমকিতে পড়েছে। যাত্রীবাহী বাসে, খেলার মাঠে, রাস্তায়, ঘরে কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়। নারীরাও সমাজের একটা অংশ। সমাজ গঠনে নারীদেরও যে ভূমিকা আছে সেটা প্রতিষ্ঠা হওয়া দরকার। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানেও নারীরা মিছিলের অগ্রসৈনিক হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছে। সমাজে নারীর অবদান স্বীকৃতি পেলেই নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আমি মনে করি।
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন জয়ন্তী দেওয়ান। জানতে চাইলে জয়ন্তী দেওয়ান বলেছেন, পেশা হিসেবে সাংবাদিকতায় কিছু স্বকীয়তা ও চ্যালেঞ্জ তো রয়েছেই। নারীদের সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে সেই চ্যালেঞ্জ আরও বেশি।সংবাদমাধ্যমে নারীর এই পথ চলার গতিপথ যে খুব মসৃণ এমনটি বলার অবকাশ এখনো নেই। এখনো অনেকে সাংবাদিকতাকে নারীদের পেশা মনে করেন না, বিশেষ করে পাহাড়ে। অনেক পুরুষ সহকর্মীর মাঝে একজন নারী কাজ করছেন, আরও পাহাড়ি এটা অনেকেই মেনে নিতে পারেন না। অনেক সময় দেখা যায় যে নারী দেখে কথা বা বক্তব্য দিতে চান না। তবে আমি শুরু থেকে আজ পর্যন্ত অনেক পুরুষ সহকর্মীর কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি।
জয়ন্তী দেওয়ান মনে করেন, নারীরা সব ধরনের কাজে নিজের যোগ্যতা ও মেধার পরিচয় দিয়ে আসছে বহুদিন ধরেই। বর্তমানে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পেশায় যোগদানের ক্ষেত্রে পরিবার এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে। পাহাড়ের নারীদের এই পেশায় আরও আসা উচিত।

দৈনিক প্রথম আলোর খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জয়ন্তী দেওয়ান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, বর্তমান সময়ে নারীরা শিক্ষাক্ষেত্র, রাজনীতি, ব্যবসা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্নক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন। তারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন। তবে নারীদের এই অগ্রযাত্রা এখনো নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে।নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা এখনো প্রভাবশালী।
শ্রেষ্ঠা মনে করেন, নারীরা সমাজের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও তাদের সামনে এখনো নানা প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান। বিশেষ করে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা নারীদের উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমান সময়ে নারীদের নিরাপত্তা ও অধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলোও বেশ আলোচিত। সমাজে এখনো অনেক ক্ষেত্রে নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হয়। পরিবার ও সমাজে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সীমিত। যদিও নারী শিক্ষার হার বেড়েছে, তবে সমাজ ব্যবস্থা এবং মানসিকতা বদলায়নি। এখনো গ্রামাঞ্চলে মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করা হয়। পাশাপাশি যৌন হয়রানি, নারীদের রাস্তাঘাটে, গণপরিবহনে এমনকি ঘরেও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, গৃহ নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে। নারী নির্যাতন ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আইন থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তা কার্যকর হয় না, বা বিচার পেতে দীর্ঘসূত্রিতা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, নারীদের অগ্রগতির পথে বাধাগুলো সম্পূর্ণ দূর হয়নি বরং কিছু ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হচ্ছে। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হলেও ধীরগতিতে এগোচ্ছে। আমরা দেখেছি, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নারীদের সাহসী অংশগ্রহণ; কিন্তু পরবর্তীতে সেই নারীদের-ই এই দেশ, এই সমাজ নিরাপত্তা দিতে পারছে না। মোরাল পুলিশিংয়ের মতো নানান অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো ঘটে যাচ্ছে। নারীরা এখানে রাস্তায় নিরাপদ না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নারীরা কটূক্তি ও হয়রানি নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। স্বাধীন সাহসী বলিষ্ঠ নারীদের বিভিন্ন নেতিবাচক ভাবে। ট্যাগিং করা হচ্ছে। যা নারীদের সামনে এগিয়ে চলার জন্যে নতুন ধরনের হুমকি।

রাঙ্গামাটি নারী উদ্যোক্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি রোজিনা ইসলাম রোজি ও অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই দেশের মানুষের অক্ষরজ্ঞান অনেকের থাকলেও মনন এবং মেধার বিকাশ হয়নি। তথাকথিত অক্ষরজ্ঞান শিক্ষাকে এই সমাজের শিক্ষিত সমাজ বলা যায় না। এই সমাজে আজও বিকশিত মেধা মনন এবং যৌক্তিক আচরণ করা মানুষের সংখ্যাটা খুব কম। সমাজে অসচেতনতা, গোঁড়ামি ইত্যাদি নারীদের জন্য পদে পদে বাধার সৃষ্টি করে। আজও বাল্যবিবাহকে প্রমোট করা হয়। আজও নারীদের আড়াল করতে চায় কিছু গোষ্ঠী। মানসিকতার এবং মেধা মননের সার্বিক বিকাশ না হলে এই প্রতিবন্ধকতা সমাজে থেকেই যাবে। অগাছার মতো সমাজের বিভিন্ন শাখায় ছড়িয়ে পড়বে এবং সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হবে।
রাঙ্গামাটি নারী উদ্যোক্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি রোজিনা ইসলাম রোজি বলেন, আমি নারী নিজেকে সমাজের বোঝা হিসেবে নয়, শক্তিতে রূপান্তর করতে বিশ্বাসী। আধুনিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু সব সময় একটি প্রশ্ন নারীরা কি আসলে ঘরেও নিরাপদ? প্রতিনিয়ত শহর থেকে গ্রামান্তরে প্রতিটা নারী প্রতি পদে পদে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে এবং আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় নারী আদৌ কী বাধার সম্মুখীন হওয়া ছাড়া এগিয়ে যেতে পারছে। পারছে না। নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথে যে সকল বাধাগুলো সম্মুখীন হচ্ছে, তার মধ্যে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক। প্রতিটা ক্ষেত্রেই আসলে নারীকে তার যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় নারীর যোগ্যতা থাকার সত্ত্বেও মানসিকভাবে অনেক নির্যাতন করা হয় তাকে পিছিয়ে রাখার জন্য।
রোজি আরও বলেন, পুরুষতান্তিক সমাজে আমাদের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব সময়ই নানান লড়াই সংগ্রাম করতে হচ্ছে। সব সময় তো বা বলা হয় আমরা সম-অধিকার পাচ্ছি কিন্তু কাজে-কর্মে কখনো আমরা সময় অধিকার পাচ্ছি না এবং সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কিন্তু আমাদের যুদ্ধ লড়াই হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত আমাদের বাধা বাড়ছেই। দেশের প্রচলিত আইন থাকা সত্ত্বেও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু আইনের ওপর নির্ভর করাই নয়, নারীদের তাদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন করাটাও জরুরি। আমাদেরকে আরও বেশি সজাগ থাকতে হবে। সচেতন থাকতে হবে। নিজের অধিকার কিভাবে আদায় করে নিতে হয়, সেই জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা থেকে প্রথম নারী আইনজীবী সুস্মিতা চাকমা বলেন, নারী জাগরণ, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সম-অধিকারের ক্ষেত্রে আমরা যতটুকু এগিয়েছি; এখন মনে হচ্ছে আমরা আবার উলটো পথেই হাঁটছি। সাম্প্রতিক সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়রানি, নিগ্রহের যে পরিসংখ্যান আসছে, এতে বোঝাই যাচ্ছে নারী-বাহিরে কোথাও নিরাপদ নেই।জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নারীরা মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে, এখন ছয় মাস না পেরুতেই তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ঢাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেখানে একজন নারীকে হেনস্থা করার পর আরও ব্লেমিং করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে ফুলের মালা দেওয়া হচ্ছে, এগুলা তো ভালো কোনো লক্ষণ হতে পারে না। এগুলো কিসের ইঙ্গিত?
তিনি আর বলেন, আমরা নারীদের অগ্রগতির কথা বলছি, এগিয়ে যাওয়ার কথা বলছি, সম-অধিকারের কথা বলছি। অথচ এখন নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। দেশের কোথাও নারীরা নিরাপদ বোধ করছেন না। নারীকে প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সবার আগে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। তারপরেই তো সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা। আমি বলব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হোক, কিংবা যে সরকারই হোক না কেন নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত এখন জরুরি। অন্যথায় আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেয়ে অনেক বেশি পিছিয়ে যাব।
সারাবাংলা/ইআ