ইসলামী আন্দোলনের ‘মহিলা ইউনিট’ গঠন
৮ মার্চ ২০২৫ ১৮:০১ | আপডেট: ৮ মার্চ ২০২৫ ১৯:২১
ঢাকা: মিসেস নুরুস সাবিহাকে মুয়াল্লিমা, মিসেস কোহিনুর বেগমকে সহ-মোয়াল্লিমা এবং মিসেস হাফেজা বুশরাকে সমন্বয়কারী করে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট ‘মহিলা ইউনিট’ গঠন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শনিবার (০৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় একটি মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘নারী সম্মেলন’-এ নারীদের মতামত, গোপন ভোট ও পরামর্শের ভিত্তিতে এ মহিলা ইউনিট গঠন করা হয়।
ইসলামী আন্দোলনের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়ার তত্বাবদানে অনুষ্ঠিত নারী সম্মলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, বোধ-বিশ্বাসের ভিত্তিতে নারীকে তার প্রাপ্য অধিকার, সম্মান, মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে। কন্যার উন্নয়নে সংস্কৃতিক ও আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামের সুমহান আদর্শের আলোকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে সচেতন নারী সমাজকে সক্রীয়ভাবে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের এখনই সময়। নারীদের মধ্যে দীনি দাওয়াত সম্প্রসারণ করে সর্বত্র মহিলা ইউনিট গঠন তৎপরতাকে আরও জোরদার করতে হবে।’
গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘নারীর অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন ও কন্যার উন্নয়ন নিয়ে আধুনিক সভ্যতা অনেক কাজ করলেও বাস্তবতা হল, নারীর অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হয়েছে। নারীর অধিকার, নিরাপত্তা আরও বিঘ্নিত হয়েছে। বৈষম্য আরও বেড়েছে, কন্যার অবনতি হয়েছে। কারণ, পশ্চিমা সভ্যতা নারীকে পণ্য ও পণ্য বিক্রির আকর্ষক করে তুলেছে এবং নারীকে মূল্যায়ন করেছে তার বস্তুগত উৎপাদন সক্ষমতার ভিত্তিতে।’
‘এসব মোকাবিলায় ইসলাম নারীকে আত্মিক-পারিবারিক বন্ধনজনিত ক্ষমতায় মূল্যায়ন করে এবং নারীর অবস্তুগত ক্ষমতাকে বিবেচনা করে নারীর সম্মান-মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করে। ইসলামের পরিমণ্ডলে নারী এতটাই ক্ষমতাবান যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরুষের সামগ্রিক মর্যাদা নারীর মূল্যায়নের সাপেক্ষে নির্ধারণ করেছেন’— বলেন গাজী আতাউর রহমান।
সারাবাংলা/এজেড/এইচআই
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ইসলামী আন্দোলন নারী সম্মেলন মহিলা ইউনিট