রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলায় ইউক্রেনে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। ইউক্রেনের মতে হামলার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শনিবার (৮ মার্চ) দোনেৎস্ক অঞ্চলে রুশ হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ছয়জন শিশু রয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এছাড়া খারকিভ ও ওডেসাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়িঘর ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে রুশ বাহিনী দোনেৎস্ক অঞ্চলের ডোবরোপিলিয়া শহরে ভয়াবহ হামলা চালায়। সেখানে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে আটটি আবাসিক ভবন ও একটি শপিং সেন্টার ধ্বংস হয় এবং অন্তত ১১ জন নিহত হন।
দোনেৎস্কের অন্য এলাকায় শুক্রবার (৭ মার্চ) ও শনিবার (৮ মার্চ) আরও ৯ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
খারকিভ অঞ্চলের বোহোদুখিভ শহরে ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সামরিক ও সামরিক সহায়তা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার পর রুশ হামলা আরও তীব্র হয়েছে। সর্বশেষ রুশ হামলার পর পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, ‘যখন বর্বরদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়, তখন এমনটাই ঘটে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানান, উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর রাশিয়া আরেকটি হামলা চালায়, যা উদ্ধারকর্মীদের লক্ষ্য করে ইচ্ছাকৃত হামলা ছিল। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের হামলা প্রমাণ করে যে রাশিয়ার যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনও রাশিয়ায় পালটা হামলা অব্যাহত রেখেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে তাদের বাহিনী ৩১টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় ইউক্রেনের সঙ্গে সমঝোতা করা আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।
এর আগে, ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি তিনি গভীরভাবে বিবেচনা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তনে ইউরোপের নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করেন।
উল্লেখ্য, রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণমাত্রার হামলা শুরু করে এবং বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা দখল করে রেখেছে।