ঠাকুরগাঁওয়ে যুবলীগ নেতাকে গণধোলাই দিল শিক্ষার্থীরা
৯ মার্চ ২০২৫ ১৭:২৩
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম সন্ত্রাসী মো. জাহাঙ্গীর ওরফে ‘তলোয়ার জাহাঙ্গীর’ অবশেষে ধরা পড়েছে ছাত্রদের হাতেই।
রোববার (৯ মার্চ) ঠাকুরগাঁও আদালত চত্বরে ধর্ষণের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবাদে অংশ নিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। পরে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আটক মো. জাহাঙ্গীর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পুলিশ লাইন (১নং ওয়ার্ড) মুসলিম নগর এলাকার বাসিন্দা। তার বাবা মৃত মমতাজ উদ্দিন। জানা গেছে, তিনি যুবলীগের সক্রিয় সদস্য এবং অতীতে বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
গত বছরের ৪ আগস্ট স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে বড় একটি রামদা নিয়ে তাকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে দেখা যায়। হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
রোববার (৯ মার্চ) দুপুরের দিকে ঠাকুরগাঁও আদালত এলাকায় ধর্ষণের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবাদ চলছিল। হঠাৎ শিক্ষার্থীরা দেখতে পান, অভিযুক্ত তলোয়ার জাহাঙ্গীরও সেখানে উপস্থিত। মুহূর্তেই চারদিকে খবর ছড়িয়ে পড়ে, এবং ক্ষুব্ধ ছাত্ররা তাকে ঘিরে ফেলে।
ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাকিব বলেন, ‘আমরা তার চেহারা ভালো করেই মনে রেখেছিলাম। ও আমাদের ভাই-বোনদের ওপর হামলা করেছিল। আদালত এলাকায় তাকে দেখে প্রথমে বিশ্বাস হয়নি, কিন্তু নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা সবাই একসঙ্গে প্রতিবাদ করি।’
অন্য এক ছাত্র শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই ধরনের সন্ত্রাসীরা নানা রূপ ধরে আমাদের সমাজে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু আজ সে ধরা পড়েছে, এটাই বড় প্রাপ্তি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি আগেই ব্যবস্থা নিত, তাহলে এতদিন সে এভাবে ঘুরে বেড়াতে পারত না।”
ঘটনার পরেই পুলিশ এসে উত্তেজিত ছাত্রদের কাছ থেকে জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ‘আমরা তাকে হেফাজতে নিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আগের মামলাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এনজে