ইসলামি আইনের আলোকে ধর্ষকের প্রকাশ্য শাস্তি চায় হেফাজত
৯ মার্চ ২০২৫ ১৭:৩৭ | আপডেট: ৯ মার্চ ২০২৫ ১৮:৩৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ফ্যাসিস্ট শাসনামলে দীর্ঘ বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান। ইসলামি আইনের আলোকে দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থা ঢেলে সাজালে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি মিলবে এবং নারী ও শিশুরা পূর্ণ সুরক্ষা পাবে বলে মত দিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ধর্ষকদের প্রকাশ্য শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) বিকেলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের জন্য পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
বোনের বাসায় শিশু ধর্ষণের ঘটনা জাহেলি যুগের বর্বরতাকে হার মানিয়েছে মন্তব্য করে বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আমল থেকে দীর্ঘ বিচারহীনতার কারণে এখনো ধর্ষণের ঘটনা চলমান। সেই আমলে বন্দি স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে পবিত্র শবে কদরের দিনে রোজা ভাঙিয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে সাবেক র্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন। শেষবার ধর্ষণের পর সেই নারী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মারা যান। গৃহকর্মী কিশোরীকে নিপীড়নপূর্বক হত্যা করেও বিনা বিচারে জামিন পেয়ে যান ডেইলি স্টারের মতো প্রগতিশীল নামধারী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আশফাকুল হক। এভাবেই দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।’
ধর্ষণ রোধে বিদ্যমান আইনের ত্রুটি উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘আমাদের দেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আইনগুলোর সংস্কার না হওয়ায় যথাসময়ে ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও আমরা মনে করি। বিচারহীনতার সংস্কৃতি কেবল একটি জাহেলি সমাজেরই উদাহরণ হতে পারে, কোনো সভ্য সমাজের নয়।’
ইসলামের ন্যায্যতার ধারণা, আইন ও বিচারব্যবস্থার আলোকে রাষ্ট্রীয় আইন ও বিচারব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর তাগিদ দিয়ে হেফাজত নেতারা বলেন, ‘তাহলে আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তির পাশাপাশি নারী ও শিশুদেরও পূর্ণ সুরক্ষা দিতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ধর্ষকদের প্রকাশ্য শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অতিদ্রুত ভিকটিম আছিয়ার ধর্ষকদের প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। র্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের প্রকাশ্য বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামে ধর্ষণকারীকে জনসম্মুখে শাস্তি দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তাদের শাস্তি দিতে যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয় এবং মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। রাসুলের যুগে এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে বিশ্বনবী ধর্ষককে মৃত্যুদণ্ড দেন।’
‘ধর্ষককে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়ার বিধান ইসলামে রাখা হয়েছে, যাতে মানুষ এই শাস্তি সচক্ষে দেখতে পায়। প্রকাশ্য শাস্তি দেখলে মানুষের মধ্যে ভয় ঢুকবে এবং এ ধরনের কাজ থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রাখতে সচেষ্ট থাকবে।’
সারাবাংলা/আরডি/এসআর
ইসলামী আইন চট্টগ্রাম ধর্ষকের প্রকাশ্য শাস্তি চায় হেফাজত ধর্ষণ সারাবাংলা হেফাজত হেফাজতে ইসলাম