বগুড়া: বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ব্ল্যাকমেইল করে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মো. সুজন (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত আরও কয়েক অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (৯ মার্চ) গ্রেফতার আসামিকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা উপজেলার সিমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুন্ডি গ্রামের একটি কোম্পানিতে কর্মরত লোকদের তার বাড়ি থেকে রান্না করে খাওয়াতেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা এলাকার সৈয়দ আলী সরকারের ছেলে তাজুল ইসলামের সেই বাড়িতে যাতায়াত ছিল। এক পর্যায়ে গত বছরের ২৬ আগস্ট আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ওই নারীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ের শয়ন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তাজুল। এ সময় সুজন গোপনে মোবাইলে ভিডিও করে। পরবর্তীতে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সুজন একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীর ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর সুজন তার আরও তিন সহযোগীকে ওই ভিডিও দিলে তারা ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়।
অবশেষে ভুক্তভোগীর মা শনিবার (৮ মার্চ) রাতে শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মামলা দায়েরের পর পুলিশ সীমাবাড়ি ইউনিনের ধনকুন্ডি এলাকা থেকে ধর্ষক সুজনকে গ্রেফতার করেছে এবং ভিডিও ধারণ করা মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। ধর্ষণ মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।