সংবাদ সম্মেলনে আইজি প্রিজন
কারাগারে ১৫১ ডিভিশনপ্রাপ্তের মধ্যে সাবেক এমপি-মন্ত্রী ৬৮ জন
১০ মার্চ ২০২৫ ১৯:১৩ | আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৫ ২০:২৯
ঢাকা: কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন জানিয়েছেন, দেশের ৬৯টি কারাগারে বর্তমানে মোট ১৫১ জন ডিভিশন সুবিধা নিয়ে আছেন। এর মধ্যে ৬৮ জন সাবেক এমপি-মন্ত্রী।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে ঢাকার বকশীবাজারে কারা সদরদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
বর্তমানে কতজন ডিভিশনে আছে? জানতে চাইলে মোতাহের হোসেন বলেন, ‘১৫১ জন এখন ডিভিশন সুবিধা পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী আছেন ৩০ জন, সাবেক সংসদ সদস্য ৩৮ জন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ৭০ জন এবং অন্যান্য ১৩ জন।’
এর বাইরেও বিশেষ বন্দি হিসেবে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তা আছেন ২৪ জন, যারা বিভিন্ন কারণে ডিভিশন পাননি বলে জানান তিনি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন বলেন, ‘আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গত সাত মাসে কারাগারে দায়িত্বরত ১২ জনকে চাকরিচ্যুত করাসহ ৮২৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কারা অধিদফর। যাদের মধ্যে কারারক্ষী, প্রধান কারারক্ষী সার্জেন্টসহ বিভিন্ন পদবির কয়েকজন রয়েছেন। এ ছাড়া, ছয়জনকে বাধ্যতামূলক অবসর, ৮৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ২৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’
এর বাইরে ২৬০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা, ২৯ জনকে কৈফিয়ত তলব, ২১ জনকে চূড়ান্ত সতর্ক, ৩৯ জনকে তাৎক্ষণিক বদলি এবং ১০২ জনকে প্রশাসনিক কারণে বিভাগের বাইরে বদলির কথা জানিয়েছে অধিদফতর।
কারাগারের বন্দি ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের জন্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নানামুখী উদ্যোগের কথা তুলে ধরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোতাহের হোসেন বলেন, ‘দেশব্যাপী বন্দিসংক্রান্ত যেকোনো তথ্য সংগ্রহের জন্য হটলাইন, বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতে ভোগান্তি কমাতে ডিজিটাল ভিজিটর ম্যানেজমেন্ট ও অভ্যন্তরীণ বন্দি ব্যবস্থাপনা সহজ করতে সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে।’
কারাগারে থাকা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর একটি চিঠি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে তিনি স্বাভাবিকভাবেই বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর আমরা তদন্ত করেছি। ওনার সঙ্গে কথা বলেছি। ওনার ভাষ্য আমাদের কাছে আছে।’
মোতাহের হোসেন বলেন, ‘তিনি আদালতে এসে চিরকুটটি লিখেছেন। পরে প্রিজন ভ্যানে যাওয়ার সময় কোনো না কোনোভাবে কারও উদ্দেশে ছুড়ে মেরেছেন। এ ছাড়া, ওনারা এক সপ্তাহ পর পর মোবাইল ফোনে কথা বলার সুবিধা পান। পরিবার অথবা উকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম