কর দিয়ে কেউ দেউলিয়া হয় না: এনবিআর চেয়ারম্যান
১১ মার্চ ২০২৫ ১৯:২১ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫ ২০:৪৬
ঢাকা: কর দিয়ে কেউ দেউলিয়া হয় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় মঙ্গলবার পেশাজীবী সংগঠন আইসিএমএবি, বাংলাদেশ ট্যাক্স লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ভ্যাট প্রফেশনাল ফোরামের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর দিয়ে কেউ দেউলিয়া হয় না। কর দিয়ে দেউলিয়া হয়েছে এমন কথা কখনো শুনি নাই।
কর অব্যাহতির বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন করে কর অব্যাহতির কথা কেউ বলবেন না। আমরা চাই যতটুকু আছে তা-ও কমিয়ে আনা, ধীরে ধীরে কর অব্যাহতি তুলে দেওয়া।
আলোচনায় জমির মৌজা মূল্য হালনাগাদকরণ প্রসঙ্গে আইসিএবি’র পক্ষ থেকে স্নেহাশিস বড়ুয়া বলেন, বর্তমানে ভূমির ও ফ্ল্যাটের বাজার মূল্যের তুলনায় মৌজা মূল্য কম হওয়ায় অপ্রদর্শিত অর্থের সৃষ্টি হচ্ছে। জমির ফ্ল্যাটের মৌজা মূল্য সময় সময় হালনাগাদপূর্বক ডাটাবেজ তৈরি করা দরকার। এর মাধ্যমে এনবিআরের রাজস্ব হ্রাস এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সংগঠনটির প্রস্তাবনায় বলা হয়, করদাতার রিটার্নে সব সম্পদ প্রতিফলিত হয় তা নিশ্চিত করতে, ইটিআইএন অবশ্যই বিআরটিএ, ভূমি রেকর্ড অফিস এবং সিটি কর্পোরেশনের সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে। এই ধরনের অটোমেশন সম্ভাব্য ট্যাক্স দাখিলকারীদের ট্যাক্স জালের আওতায় আনা নিশ্চিত করবে এবং তাদের কোনো ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে উৎসাহিত করবে। উপরন্তু এই ধরনের অটোমেশন প্রক্রিয়ার সঙ্গে করদাতা তাদের বকেয়া ট্যাক্স ক্রেডিট পেতে কোন অসুবিধার সম্মুখীন হবে না।
আইসিএবি বলছে, আইসিএবি এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে ডিভিএস সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এতে করে খাতভিত্তিক মুনাফা, সেলস নির্ণয় করা সম্ভব। যার ভিত্তিতে যৌক্তিক উৎসে করের হার নির্ধারণ করা সম্ভব। বর্তমানে বহু ধারায় উৎসে কর আরোপের বিধান আছে। এর ভিতর কিছু কিছু খাত থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব উল্লেখযোগ্য নয়। করদাতাদের ওপর এরূপ বিপুলসংখ্যক উৎসে করের পরিপালন ও হিসাব রক্ষণ করা দুরূহ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/আরএস