আহত ১৩৮ জুলাই যোদ্ধাকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা
১১ মার্চ ২০২৫ ২০:২৮ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫ ২২:০৫
মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে সাক্ষাত করেন যুক্তরাজ্য থেকে আগত দুই চক্ষু বিশেষজ্ঞ
ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ১৩৮ জন জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন যুক্তরাজ্য থেকে আগত চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্য থেকে আগত দুই চক্ষু বিশেষজ্ঞ হলেন- লন্ডনের মুরফিল্ড আই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহি মুকিত এবং ডা. নিয়াজ ইসলাম। তারা ৮-১১ মার্চ পর্যন্ত জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত রোগীদের চোখের ফলোআপ ও অপারেশন করেন। সেই সঙ্গে চিকিৎসার নথিপত্র যাচাই করে মতামত প্রদান করেন।
যুক্তরাজ্য থেকে আগত চক্ষু বিশেষজ্ঞদ্বয় চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে সেবা দেওয়া শেষে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এ সময় তারা স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে তাদের কাজের চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত করেন।
সাক্ষাতকালে চিকিৎসক ডা. মাহি মুকিত জানান, আন্দোলনে আহতদের যথাযথ মানসিক ট্রমার চিকিৎসার দেওয়ার প্রয়োজন প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়া অনেক রোগী পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে আছেন। এভাবে ইনস্টিটিউশনালাইজড হয়ে থাকা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যাদের চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে তারা তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাতে পারেন।
আগত লন্ডনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎকরা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১১৫ জন রোগীকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন এবং ২৩ জন রোগীর সার্জারি করেন। বাংলাদেশের চক্ষু চিকিৎসকরা যে সেবা দিয়েছেন তা সঠিক ও বিশ্বমানের। এ ধরনের রোগীদের লন্ডনে একইভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। চোখের ভিতরের পিলেটগুলি যে পদ্ধতিতে অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ সঠিক। কিছু পিলেট চোখের বাহিরে, মাথা, মুখমণ্ডল এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে তাঁদের বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে তারা এই চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।
সাক্ষাতকালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি হসপিটাল বার্নিংহামের ডা. মোসলেহউদ্দিন ফরিদ এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এমএইচ/আরএস