পাকিস্তানে ট্রেনে হামলা: দেড় শতাধিক জিম্মি উদ্ধার, ২৭ জঙ্গি নিহত
১২ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৩ | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫ ১৩:২০
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে দুর্গম এলাকায় ট্রেনে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি দেড় শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় অভিযানে নিহত জঙ্গিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বুধবার (১২ মার্চ) জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্তত ২৭ জন সদস্য নিহত হয়েছে এবং দেড় শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৭ জন আহত যাত্রীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলুচিস্তানের কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী যাত্রীবাহী ট্রেন জাফর এক্সপ্রেসে সন্ত্রাসী হামলার পর জাফর এক্সপ্রেসের ৪০০ জনের বেশি যাত্রীকে জিম্মির ঘটনা ঘটে। যাত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন বলে সামরিক সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে।
হামলার দায় স্বীকার করে বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) জানিয়েছে, কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস সিবি জেলায় পৌঁছালে রেল লাইনের ওপর বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি বর্ষণ করে তারা ট্রেনের ওপর হামলা চালায়। ট্রেনটি এখনও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তাদের দাবি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এখনও রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি। প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান, ওই অঞ্চলে ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্কের কোনো কভারেজ নেই।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বেলুচ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি না দিলে জিম্মিদের হত্যার হুমকি দিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রেনটি ‘পাহাড় দিয়ে ঘেরা একটি টানেলের ঠিক আগে আটকে আছে’।
একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন, ট্রেনটিতে কোয়েটা থেকে ১০০ জনেরও বেশি সেনা সদস্য ছিলেন।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষসহ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ, বিএলএকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
গোষ্ঠীটি স্বাধীনতার দাবিতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে। প্রায়ই পুলিশ স্টেশন, রেললাইন ও মহাসড়ককে লক্ষ্য করে অসংখ্য প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি।
সারাবাংলা/ইআ
জিম্মি উদ্ধার ট্রেনে হামলা পাকিস্তান পাকিস্তানে ট্রেনে হামলা সন্ত্রাসী নিহত