‘এনআইডি সেবা আপাতত ইসির আধীনেই থাকছে’
১২ মার্চ ২০২৫ ২০:২৪ | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫ ২১:১৪
ঢাকা: জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) সেবা আপাতত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনেই থাকছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি ভবনে ‘এনআইডির ওনারশিপ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের বিষয়টা সুস্পষ্টভাবে সামনে আনলাম। কারণ ইসি থেকে কয়েকটা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে এনআইডি সেবা যেন ইসির কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া না হয়। আমরা বলতে চাচ্ছি যে এখন ইসি যে ডাটাবেইজ মেনটেন করে তারা সেটাই মেইনটেইন করবে। কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের একটি স্বাধীন ডেটা অথরিটির দিকে যেতে হবে, যেটা কিনা আমাদের লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক, অথেন্টিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক, ডেটা এক্সটেন্ট ফ্রেমওয়ার্কের জন্য জরুরি। যার ওপর ভিত্তি করে আমাদের ডিজিটাল অপারচুনিটিগুলো দাঁড়িয়ে আছে।’
তিনি বলেন, ‘আইসিটি খাতকে যদি আমরা গার্মেন্টসের আদলে রফতানিমুখী খাত হিসেবে প্রতিস্থাপন করতে চাই এবং আমাদের সার্বিকভাবে অর্থনীতির বিকাশ করতে চাই, তাহলে আমাদের এই যাত্রায় যেতেই হবে। আমাদের এখনই সে যাত্রাটা শুরু করা দরকার।’
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘ইসির অধীনে ৩৫ ধরনের তথ্য আছে। তারও বেশি আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভোটের অধিকার বাস্তবায়ন করার জন্য ৩৫ ধরনের তথ্যের প্রয়োজন আছে কি? এই প্রশ্নটি যৌক্তিকভাবে এবং কারিগরিভাবে উপস্থাপন হয়েছে। আমরা ডেটা অথরিটির কথা বলছি। আমরা বলছি না যে নির্বাচন কমিশনের যে আইটি সেল আছে, সেটাকে বন্ধ করে দেব। তার যে সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং কারিগরি ক্ষমতা আছে সেটাকে আমরা নিয়ে নেব? আমরা যেটা বলছি ডাটা অথরিটির মাধ্যমে রেগুলেটেড হবে যার কাছে যেটা আছে সেটা আপাতত সেখানেই থাকবে। একটা পর্যায়ে এসে যখন এই সফটওয়্যারগুলোকে রূপান্তর করা দরকার, ওই সময় যেটাকে একটা কেন্দ্রীয় অথরিটির আন্ডারে নিয়ে আসব। আপাতত যে যেখানে আছে সেখানেই থাকবে।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/এইচআই