সুনামগঞ্জের রক্তি নদীতে নাব্যতা সংকট, আটকা পড়েছে শতাধিক নৌযান
১৪ মার্চ ২০২৫ ২১:৪৩
সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের রক্তি নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে ওই নৌপথে চলাচলে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রক্তি নদীতে শতাধিক বালু ও পাথরবাহী নৌযান আটকা পড়েছে।
রক্তি নদীর নাব্যতায় জেলার বড় বালুমহাল তাহিরপুরের যাদুকাটা মহালের নদী থেকে বালুবোঝাই নৌযান, পাথরবাহী বাল্কহেড ও বড় নৌকা বের হয়ে সুরমা নদীতে যেতে পারছে না। নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সীমানার নৌপথে এমন অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় রক্তি নদীতে শতাধিক বালু ও পাথরবাহি নৌপরিবহন আটকা পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পেড়েছেন ব্যবসায়ী ও নৌযান সংশ্লিষ্টরা।
ফতেহ্পুর এলাকার বালু ও পাথর ব্যবসায়ী টিটু তালুকদার জানান, রক্তি নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় এই সংকট আরও বেড়েছে। নদীর বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহ্পুর থেকে দুবলারচর পর্যন্ত শতাধিক নৌকা দুপুরের পর থেকে আটকা ছিল শুনেছি। রাতে কয়েকটা কোনভাবে আসা যাওয়া করেছে। এই নদী দিয়ে যাদুকাটা থেকে বালু ও পাথর নিয়ে সুরমা নদী হয়ে নৌযান দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছায়।
জামালগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফ উল্লাহ্ জানান, রক্তি নদীর দুর্লভপুর এলাকায় নাব্যতা সংকটের কারণে ৩৫ থেকে ৪০ টি বালু বোঝাই ট্রলার আটকা পড়েছে। ওখানে বিআইডব্লিউটি’এর নদী খননের কাজও চলছে।
বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিস ইনচার্জ (ওসি) মোখলেছুর রহমান বললেন, শুনেছি রক্তি নদীর দুবলারচর, সংগ্রামপুর এলাকায় নাব্যতা সংকটে নৌজট লেগেছে। বিকেলে আমরা এই খবর পেয়েছি। ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে সরেজমিনে যাবার সিদ্ধান্ত হলে, আমরা পুলিশ পাঠাব।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন,‘পাটলাই নদীসহ সুনামগঞ্জের ১৪টি নদী খননের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে নদী খননে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এসআর