‘বিচার বিলম্ব হলে জনগণ আইন হাতে তুলে নেবে’
১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:২৬
“বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সিয়ামের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী
ঢাকা: নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিচার প্রক্রিয়া বিলম্ব হলে জনগণ আইন হাতে তুলে নেবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) কারওয়ান টিসিবি অডিটোরিয়ামে “বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সিয়ামের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সৈয়দ মোসাদ্দেক বলেন, ‘মাগুরার শিশু ধর্ষণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ইসলামের ব্যভিচার আইন রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োগ করতে হবে। বিচারিক প্রক্রিয়া বিলম্ব হলে জনগণ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। বর্তমান আইনশৃঙ্খলার অবনতি তাই প্রমাণ করে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ ক্রমশ আইন হাতে তুলে নিতে অভ্যস্ত হচ্ছে। এটা রাষ্ট্রের জন্য ভাল লক্ষণ না। সর্বত্র এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। সবকিছু মিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে; যা জুলাই-আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য কাম্য ছিল না।’
মাদানী বলেন, ‘শিশু-নারী ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনাসহ সকল বিচারিক প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা শোনা গেলেও বাস্তবে আমরা তার কিছুই দেখছি না। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকলে আইন সংস্কারের মাধ্যমে তা নিরসন করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ‘যৌক্তিক সংস্কার শেষে দ্রুত তম সময়ে স্থানীয় নির্বাচনের পরই জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান কাজ। স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট পরবর্তী নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও শক্তিমত্তা দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো বিশেষ দল বা দেশের চাপে কোনোভাবেই স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের পরে আয়োজন করা যাবে না। এমনটা হলে জুলাই-আগস্টের শহিদ ও তাদের পরিবারের সঙ্গে গাদ্দারী করা হবে। এ দেশে আবারও স্বৈরাচারের বীজ বপন হবে।’
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিশের মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রাজী, আলহাজ আনোয়ার হোসেন, মুফতি ওয়ালি উল্লাহ, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মোস্তফা আল মামুন মনির, নগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম শরীয়তুল্লাহ, মুফতি মো. মাছউদুর রহমান, ডাক্তার মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান, মুফতি নিজাম উদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দীন পরশ ও মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার অব. আমিনুল হক তালুকদার প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এইচআই