বাম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে ২১০ নাগরিকের বিবৃতি
১৫ মার্চ ২০২৫ ১৭:০৮ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ১৮:১৮
ঢাবি: ধর্ষণ ও নিপীড়নের প্রতিবাদকারীদের ওপর পুলিশের হামলা, মিথ্যা মামলা এবং কতিপয় গোষ্ঠীর সহিংসতা ও বিদ্বেষমূলক অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন ২১০ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
শনিবার (১৫ মার্চ) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ফরিদের সই করা এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নারীর ওপর হামলা, হুমকি, মব সহিংসতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি যখন প্রতিবাদ করছে, তখন তাদের ওপর পুলিশের নির্মম হামলায় আমরা ক্ষুব্ধ। গত ১১ মার্চ দুপুরে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে ৯ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা ও স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে নারীদের ওপর পুলিশ আক্রমণ করেছে, কোনো নারী পুলিশের উপস্থিতিও আমরা সেখানে দেখতে পাইনি। হামলার পর আবার ১২ মার্চ পুলিশ সেই আহতদের মধ্যে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে এজাহার দায়ের করেছে। এরমধ্যে একজন আসামি হলেন ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড, যিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিতই ছিলেন না। অথচ গতকাল রাতে ডিবি পুলিশ তার বাসায় গিয়ে এই মামলায় তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে। ফেসবুকে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশ তাকে কিছুদূর নিয়ে এসেও শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, এর আগেও শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিভিত্তিক আন্দোলন, ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকের আন্দোলন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশকৃত সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে পুলিশের যে আক্রমণ দেখা গেছে-তা হাসিনা আমলের কথাই মনে করিয়ে দেয়। এদিকে আবার কতিপয় চিহ্নিত গোষ্ঠী যখন দেশের লেখক শিক্ষক রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, হত্যার হুমকি দিচ্ছে, মব সন্ত্রাস চালাচ্ছে তখন পুলিশসহ সরকারি প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা অবিলম্বে হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার এবং আন্দোলনকারীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবি করছি। একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশের হামলা-বাধা-মামলার তৎপরতা বন্ধ করে অগণতান্ত্রিক সন্ত্রাসী বৈষম্যবাদী বিভিন্ন অপশক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতি জানানো ২১০ বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে রয়েছেন— গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, লেখক ও অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, মাওলা ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন ও অ্যাডভোকেট মানজুর আল মতিনসহ অনেকে।
সারাবাংলা/এআইএন/এইচআই