ঢাকা: বাম মোর্চার নেতারা বলেছেন, পতিত ফ্যাসিস্টরা নানাভাবে পরিস্থিতি ঘোলা করতে নেমেছে। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই-রাহাজানি-নৈরাজ্যসহ জনজীবনে চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে ধর্মীয় উম্মাদনা ও উস্কানির ভিত্তিতে মবের মুল্লুক কায়েম করেছে ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠী। আর সরকার এতে মৌন থেকে পরোক্ষ মদদ দেয়াসহ সভা-সমাবেশের উপর দমন-নির্যাতন চালিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের মত করে পুলিশি শাসন কায়েমসহ জনগণের কণ্ঠরোধের পথ অবলম্বন করছে।
নেতারা বলেন, অভ্যুত্থানের দাবী অনুযায়ী পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিচার ও রাজনৈতিক অধিকার বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বিপরীতে ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলোর পুনর্বাসনের সুযোগ উম্মুক্ত রাখতে ’৭১ এর গণহত্যার দোসর হিসেবে জামায়াতের রাজনৈতিক অধিকার বাতিলের ঐতিহাসিক গণদাবী বাস্তবায়নেও সরকার নিশ্চুপ।
শনিবার ‘২০ রমজানের মধ্যে সকল শ্রমিকের বেতন-বোনাস পরিশোধ এবং অব্যাহত নারী-শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে’ জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশ থেকে সারাদেশে অব্যাহত নারী শিশু নির্যাতনে যুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়া, দায়ীদের গ্রেফতার করাসহ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
বাম মোর্চার নেতারা বলেন, মালিকদের পক্ষে সরকারের অবস্থান ও শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে সরকারের উদাসীনতার কারণে গার্মেন্টের অর্ধ-লক্ষাধিক শ্রমিক এখনও অনিশ্চয়তায়, বেতন মজুরীর দাবিতে প্রতিদিনই রাস্তায় আন্দোলন করছেন তারা।
মোর্চার সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরাম এর সদস্য মনজুর আলম মিঠু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, বাংলাদেশের সোস্যালিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মুকুল, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বর থেকে একটি মিছিল বের হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।