ঢামেকে ডিবি হেফাজতে আসামির মৃত্যুর অভিযোগ
১৫ মার্চ ২০২৫ ২২:৫৬ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ২৩:৩২
ঢাকা: ডিবি হেফাজতে হেজাজ বিন আলম ওরফে ফাহিম আহমেদ (৩৮) নামে এক আসামির ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক। তিনি জানান, সকালে ডিবি পুলিশ তাকে ভর্তি করেন। মৃত্যুর পরপরই স্বজন ও বন্ধুরা মরদেহ নিয়ে চলে যায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের সহায়তায় মরদেহ হাসপতালে নিয়ে আসা হয়।
মৃতের বাবা শাহ আলম খান জানান, তাদের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলায়। তার ছেলে হেজাজ স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে জিগাতলা এলাকায় থাকত। ডিসলাইনের ব্যবসা করত। গত ১০ মার্চ মোহাম্মদপুর বাড়ৈখালী এলাকায় ইফতার পার্টি থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় যৌথ বাহিনী। মোহাম্মদপুর থানার মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়। দুইদিন পর জামিনে বের হয়। তবে অসুস্থ থাকায় ধানমন্ডি জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি হয়। আমার ছেলে এত অসুস্থ ছিল না। তখন তার কিডনীর পয়েন্ট ছিল ১ দশমিক ৪২। গ্রেফতার হওযার পর মারধরের কারণে তার কিডনীর পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হয়। তবে আগে থেকেই তার কিডনীতে পাথর ছিল।
তিনি আরও জানান, আজ সকালে ডিবি পুলিশ তার ছেলেকে ধানমন্ডির হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বিকেল পাঁচটার দিকে তাকে নেওয়া হয় কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টর্চারই মারা গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মোহাম্মদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান জানান, কিছুদিন আগে যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া হেজাজ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। সে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। গত দুইদিন যাবত তার প্রসাব বন্ধ হয়ে যায়। পরে সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ তাকে আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার আগে সে মারা যায়। স্বজনদের কাছ থেকে মরদেহটি এখন পুলিশ হেফাজতে আছে। আইন অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সারাবাংলা /এসএসআর/এইচআই