ইসরায়েলি হামলায় গাজার ‘প্রধানমন্ত্রী’ নিহত
১৯ মার্চ ২০২৫ ০৯:১৯ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ ১১:২৭
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ডি-ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা-লিসকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার (১৭ মার্চ) মধ্যরাতে গাজায় বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। এ হামলায় ইশাম দা-লিস নিহত হন। উপত্যকায় দেশটির হামলায় তিনিসহ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের কয়েকজন শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজায় তিনি ‘সরকারের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ’ কমিটির প্রধান হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। যা প্রধানমন্ত্রীর সমপর্যায়ের পদ বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
ইশাম দা-লিস ছাড়াও গাজার হামাস সরকারের বিচার মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আহমেদ আল-খাত্তা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আবু ওয়াতফা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান বাহজাত আবু সুলতান নিহত হয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মাহমুদ আবু ওয়াতফা হামাস সরকারের পুলিশ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করতেন।
দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হামাস সরকারের উচ্চপদস্থ এ চার নেতাকে হত্যা করার উদ্যেশই ছিল তাদের।
আইডিএফ জানিয়েছে, হামাসের মধ্যম সারির কমান্ডারদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল হামাসের সামরিক ও বেসামরিক সরকারের ওপর বড় আঘাত হানা। যেন গাজায় তারা নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং দখলদার ইসরায়েলের জন্য কোনো ধরনের হুমকি না হয়।
এরআগে গাজার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাহি মুস্তাহাকে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে হত্যা করা হয়। এরপর তার স্থলাভিষিক্ত হন ইশাম দা-লিস।
দখলদার ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে, যদি তাদের জিম্মিদের হামাস ছেড়ে না দেয় তাহলে গাজায় এ ধরনের হামলা আরও অব্যাহত রাখা হবে।
সোমবার মধ্যরাতে ঘুমন্ত গাজাবাসীর ওপর বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে চারশরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অসংখ্য নারী ও শিশু রয়েছে।
সারাবাংলা/এমপি