সিলেটে গরু চুরির অভিযোগে কিশোরকে নির্যাতন, ৫ জনের নামে মামলা
১৯ মার্চ ২০২৫ ১১:৫৪ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ ১৪:৪৪
সিলেট: সিলেটের বিশ্বনাথে গরুচোর সন্দেহে এক কিশোরের ওপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মটুককোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই কিশোরকে অমানবিক নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠে। নির্যাতনের শিকার কিশোরের নাম ওলিউর রহমান (১৪)। উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মজনপুর গ্রামের দিনমজুর রোহেল মিয়ার ছেলে সে।
জানা যায়, একই ইউনিয়নের মটুককোনা গ্রামে, ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লায়েক আহমদের বাড়িতে ‘গরুচোর’ সন্দেহে কিশোর ওলিউরকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। ওইদিন রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে প্রাইভেট হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয় তাকে। এক পর্যায়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এ নির্যাতনের ভিডিও। নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বমহলে। পরে মামলা নেয় পুলিশ। ভিকটিমের মা জলি বেগম বাদী হয়ে এই মামলা দেন। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে, দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লায়েক আহমদকে।
কয়েকজন এলাকাবাসী সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, রোববার বিকেলে দেওকলস ইউনিয়নের কালিজুরী মটুককোনা গ্রামে পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) লায়েক আহমদের বাড়িতে গরুচোর সন্দেহে কিশোর অলিউরকে আটক করা হয়। তার পর দুই হাত বেঁধে তার ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। ওদিন রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় অলিউরকে ভর্তি করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করা হয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে।
অলিউরের বাবা রুহেল মিয়া বলেন ‘আমার নিরপরাধ ছেলেকে চোর অপবাদ দিয়ে মটুককোনা গ্রামে লায়েক মেম্বারের বাড়িতে অমানুষিক নির্যাতন করেছে ওই গ্রামেরই বারিকসহ একাধিক লোক।’
অভিযুক্ত দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) লায়েক আহমদ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে বলেন, ‘আমি বাড়িতে থাকাকালেও ওই কিশোরের ওপর কোনো নির্যাতন করা হয়নি। তাকে মুরব্বিদের জিম্মায় রেখে আমি অন্যত্র ইফতারে যাওয়ার পর ঘটনাটি ঘটতে পারে।’
বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী সারাবাংলাকে জানান, এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সারাবাংলা/ইআ