‘ডিসেম্বরকে সবাই কাটঅফ টাইম হিসেবে ধরে নিয়েছে’
২০ মার্চ ২০২৫ ১৪:০৮ | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫ ১৫:৩৭
ঢাকা: ইইউসহ বিশ্বের সবাই আগামী ডিসেম্বরকে বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য ‘কাটঅফ টাইম’ হিসেবে ধরে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
‘‘নির্বাচনের টাইমফ্রেম সম্পর্কে ইইউ রাষ্ট্রদূত কিছু বলেছে কিনা’’— এমন প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, ‘‘সবাই ধরে নিয়েছে ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অনেকের মতে ডিসেম্বরটাও অনেক দেড়ি হয়ে যায়, তারপরও ডিসেম্বরকে কাটঅফ টাইম হিসেবে সবাই ধরে নিয়েছে। সবার ধারণা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচটা হলে আমরা সঠিক পথে থাকব।’’
‘‘গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা ১৫/১৬ বছর যুদ্ধ করেছি। সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নির্বাচন। সেটার জন্য লেটেস্ট ডিসেম্বরকে কাটঅফ টাইম হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে’’— বলেন আমির খসরু।
তিনি বলেন, ‘‘ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশের সার্বিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বৈদেশিক সম্পর্ক এবং অবস্থান নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। রাজনীতির ক্ষেত্রে যেটা… সেটা তো আপনারা বুঝতেই পারেন। সেটা নির্বাচন এবং সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে যে একটা ঐকমত্য সৃষ্টির প্রচেষ্টা চলছে— এইগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে সব সময় আমরা বলে এসেছি এবং আমার মনে হয়, যাদের গণতন্ত্রে বিশ্বাস আছে, এ ব্যাপারে তাদের দ্বিমত থাকার কথা না।’’
আমির খসরু বলেন, ‘‘যেসব জায়গায় ঐক্যমত হবে, সেসব জায়গা আমরা ক্যারি করব, আর যেসব জায়গায় ঐক্যমত হবে না, সেটা সাংবিধানিক হোক আর নির্বাচন হোক বা অন্য কিছু হোক, সেটা আগামী নির্বাচনে প্রত্যেকটা দলের অধিকার আছে, জনগণের সামনে নিয়ে যাবে এবং জনগণের সামনে উপস্থাপন করবে। জনগণের মতামত নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে, তর্ক হবে, বিতর্ক হবে এবং পাস হবে— ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা এভাবেই হয়েছে মোটামুটি।’’
তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের ব্যাপারে স্বভাবতই দেশে এবং দেশের বাইরে সবার মধ্যে যেটা কাজ করছে, সেটা হল নির্বাচন কবে হবে, কবে দেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসবে। বর্তমান দেশে একটা সরকার আছে। কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু, গণতান্ত্রিক অর্ডার যেটা, সেটা তো এখনো ফিরে আসে নাই। সেটা না আসলে তো… জনগণের সরকার ব্যতীত অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সাপোর্ট দিয়ে, পুলিশ সাপোর্ট দিয়ে হবে না। সেটা আমরা এখনই লক্ষ্য করছি। এই জন্য সবাই মনে করে জনগণের একটা সরকার হলে সব কিছুর সমাধান দ্রুত হয়ে যায়। এই জন্য এ বিষয়টা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আলোচনায়।’’
‘নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং সহযোগিতায় ওরা রাজি আছে। বিশেষ করে ইলেক্ট্ররাল প্রোসেস থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠান যেগুলো ভেঙে পড়েছে, এগুলো সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনার জন্য সহযোগিতা করার ব্যাপারে ওরা (ইইউ) রাজি আছে’— বলেন আমির খসরু।
তিনি বলেন, ‘‘আর বৈদেশিক বিষয় যে আলোচনা হয়েছে, সেটা হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন রফতানির জন্য আমাদের সবচেয়ে বড় ডেস্টিনেশন। সেখানে আমরা আগামী দিনে কী কাজ করতে পারি এবং বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী দিনে ইইউ’র সাথে কর্মপন্থা কী হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সারাবাংলা/এজেড/এনজে