ভোলায় সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, গ্রেফতার ৪
২০ মার্চ ২০২৫ ১৭:১৭ | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫ ১৭:২১
ভোলা: ভোলার মনপুরা উপজেলায় বেড়িবাঁধের কাজ নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা মো. রাশেদ হোসেন (২৭) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে উপজেলা বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে সংঘর্ষে আহত ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়।
নিহত ছাত্রদল নেতা রাশেদ উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। সে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. রহিম মিঝি, মো. জসিম উদ্দিন মিঝি, আল আমিন ও মামুন। তারা দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
জানা গেছে, বুধবার সকালে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুরউদ্দিন মার্কেট এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে রাশেদসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত রাশেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বুধবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত রাশেদের বড় ভাই মো. আজাদ বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে মনপুরা থানায় একটি হত্য মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা শহরের হাজিরহাট বাজারে প্রতিবাদ সভা করেছে উপজেলা বিএনপি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত রাশেদসহ এলাকার লোকজন মিলে বেড়িবাঁধের কাজে অনিয়ম হচ্ছে বলে প্রতিবাদ জানায়। তখন কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে কাজের দায়িত্বে থাকা গিয়াস উদ্দিন মিঝি, তার আত্নীয়-স্বজন ও কাজে থাকা শ্রমিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ, সোহান, সোহাগ, মামুন, সাফায়াত রাব্বিসহ ১০জন গুরুত্বর আহত হয়। এদেরকে চরফ্যাশন ও মনপুরায় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে গুরুত্বর আহত রাশেদকে প্রথমে চরফ্যাশন হাসপাতাল, পরে ভোলা সদর ও বরিশাল হয়ে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে পথিমধ্যে রাশেদের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানায়, মামলার প্রধান আসামি গিয়াস উদ্দিন এক সময়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য হন। ৫ আগস্ট পর আবার স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে ফিরে যান।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান কবীর জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত রাশেদের বড় ভাই মো. আজাদ বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ৪ আসামিকে গ্রেফতার করে।
সারাবাংলা/এসআর
গ্রেফতার ৪ ছাত্রদল নেতা নিহত বিক্ষোভ ভোলা মনপুরা উপজেলা সংঘর্ষ সারাবাংলা